সাংবাদিকরা নির্যাতনের স্বীকার হলে আমরা বসে থাকবো না : শহিদুল ইসলাম
Share on:
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,সাংবাদিকরা নির্যাতনের স্বীকার হলে আমরা বসে থাকবো না। নির্যাতনকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
তিনি সকল সাংবাদিকের ওপর থেকে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান। সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার কর্তৃক নির্যাতন এবং হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানবন্ধন করে লুৎফর জামান ফকির।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি একেএম মহসিন,মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক নির্বাহী সদস্য আল আমীন প্রমূখ।
শহিদুল ইসলাম বলেন নেত্রকোনার এসপির নির্দেশে সাংবাদিক লুৎফর জামান ফকিরকে বিনা ওয়ারেন্টে ধরে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দিয়েছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা বিবেকের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এসে রাস্তায় দাড়িয়েছি। তার ওপর নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে রাষ্ট্র এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আওতায় না আনা হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজ আরও বড় কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
বলতে চাই পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের যে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তা দিতে নেত্রকোনা পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সাগর- রুনি হত্যার বিচার থেকে সরে আসিনি। একইভাবে দেশের যেকোন প্রান্তে সাংবাদিকরা নির্যাতনের স্বীকার হলে আমরা বসে থাকবো না। তিনি উল্লেখ করেন, এই সরকারের আমলে বিগত ১৫ বছরে মোট ৫৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। অসংখ্য সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শত শত মামলা ঝুলছে। সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার চাই। এবং সাংবাদিক নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের কিংবা দলীয় ক্যাডার তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কয়েকদিন আগে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে যেন পুলিশের বিরুদ্ধে নিউজ করা হয়। সাংবাদিক লুৎফর যথাযথ তথ্য এবং ভিডিও নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছেন। কিন্তু এরপরও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
সাংবাদিক লুৎফর জামান ফকির অভিযোগ করেন, সীমান্ত চোরাচালনের বিরুদ্ধে নিউজ প্রচার করায় তার বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে দুই মাস কারাগারে আটক রেখেছেন। সেইসাথে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে অমানুসিক নির্যাতন করেন। লিখিত অভিযোগে লুৎফর জামান ফকির বলেন, এক নম্বর মামলার বাদী অলি আহম্মদকে পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ ব্যবহার করে মামলা করিয়েছেন। বাদী অলি আহম্মদ ৭ বছরের শিশু হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত। দ্বিতীয় মামলা নম্বর -নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। দ্বিতীয় মামলাটিও একজন ভাসমান পতিতাকে দিয়ে করিয়েছেন এসপি নেত্রকোনা।