ড. মাসুদসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদকে নিম্ন আদালতে সরকারের ফরমায়েশি ও ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ে সাজা প্রদানের প্রতিবাদে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টনের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলাওয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, শামছুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য শাহীন আহমদ খান, আশরাফুল আলম ইমন, এডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি তাকরিম হাসান সহ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভিন্ন থানা আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ।
মিছিলোত্তর সমাবেশে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসীবাদী আওয়ামী সরকার গত ১৫ বছরে এক এক করে দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বিরোধীদলের আন্দোলন দমাতে ব্যর্থ হয়ে এখন আদালতকে ব্যবহার করছে। সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে পছন্দমত রায় দিচ্ছে।
অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার জন্য সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কোর্ট পরিচালনা করছে। একেকটি মামলায় একদিনে ১০/১২ জন পর্যন্ত সাক্ষী হাজির করিয়ে তাদের সেখানো বক্তব্য উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। গতকাল ১০ বছর আগের পল্টন থানার এরকম একটি মামলায় প্রত্যক্ষ কোন সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়ায় সম্পুর্ন অন্যায়ভাবে ফরমায়েশি রায়ে জনপ্রিয় জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদকে সাজা প্রদান করে।
এ ঘটনায় সচেতন মহলসহ দেশবাসী হতবাক ও বিস্মিত হয়েছে। একই সাথে তা বিচারক ও বিচার ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে। আমরা সরকারের এই ফরমায়েশি ও ন্যায় ভ্রষ্ট রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তা বাতিল করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহবান জানাচ্ছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকার আমাদের নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে ফাঁসী দিয়ে শহীদ করেছে, আমীরে জামায়াতসহ অসংখ্য নেতা কর্মিদের দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী রেখেছে, কিন্তু আমাদের আন্দোলনকে দুর্বল করতে পারেনি। গ্রেফতার করে, সাজা দিয়ে আগামীতেও চলমান আন্দোলনকে দুর্বল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
ড. হেলাল আরও বলেন, আদালত মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল অথচ সরকার আদালতকে অপব্যবহার করে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।মুলত আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সাজা প্রদান করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। কিন্তু সরকারের এই দিবাস্বপ্ন এদেশের জনগণ কখনোই বাস্তবায়ন হতে দিবে না। সরকারের দুঃশাসন, অব্যাহত জুলুম-নির্যাতন এবং রাষ্ট্রীয় ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে ধ্বংসের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি