আর্থিক লেনদেনে যুবলীগ সন্ত্রাসী দুর্গপূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক পদ দখল
Share on:
আওয়ামী যুবলীগ সন্ত্রাসী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা সৃষ্টির অন্যতম মুখ্যপাত্র সঞ্জীব রায় (ভুট্ট) আর্থিক লেনদেন ঝালাকাঠি সদর কালিবাড়ী দুর্গপূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদকের পদ দখল করেন কিছু বিতর্কিত বিএনপি নেতাদের যোগসূত্রে।
পদ ব্যবসা কায়েম করে পকেট ভারী করা যাদের পেশা তারা কি ভাবে কোন ধমীয় প্রতিষ্ঠানে পদধারী থাকে ।
বিগত বছর গুলোতে এই আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের সময় বিভিন্ন ভাবে এই ৯নং শেখেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং বর্তমান জেলা যুবলীগের শীর্ষ সন্ত্রসীদের সহযোগী এবং শেখেরহাট ইউনিয়ন সাবেক ফ্যাসিবাদ চেয়ারম্যান নূরুল আমিন খান (সুরুজ) এর সকল অপকর্মের বিশ্বস্ত সহযোগী এই শ্রী সঞ্জীব কুমার রায় (ভুট্ট), পিতা: মৃত শুশেন রায় (রতন) গ্রাম- গড়ংগল, ঝালকাঠি সদর ,ঝালকাঠি।
এই বিষয়ে সঞ্জীব কুমার রায় (ভুট্ট) নামে তার গ্রাম- সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়ন এর০৪ নং ওয়ার্ড গড়ংগল বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের পক্ষে হতে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি আহ্বায়ক/সদস্য সচিব এর বরাবর একটি লিখিত আভিযোগ প্ররণ করা হয়েছে।
অর্থের বিনিময়ে কিছু বিতর্কিত বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে ঝালকাঠি সদর কালিবাড়ী মন্দিরের দূর্গপূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক পদ দখল করেন।
সে বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতাকর্মীদর বিভিন্ন সময় পুলিশ বাহিনী দিয়ে হামলা-মামলা সহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করেছে। এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নস্যাৎ করার তীব্র প্রচেষ্টা চালায়। বিতর্কিত বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় কিভাবে যুবলীগ সন্ত্রাসী আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পদের দায়িত্ব পায় তা বোধগম্য নয়।
এই বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি ও হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ছাত্র যুব কল্যান ফান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি বিওয় কুমার সরকার (কেশব সুমন) এরসাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সঞ্জীব কুমার রায় (ভুট্ট) সরাসরি ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। বিগত সময় জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন স্বৈরাচারী সরকারের পদধারী নেতা ও কাউন্সিলর দের সাথে বিভিন্ন আপকর্মে সম্পৃক্ত।
তিনি আরো বলেন তারা শুধু দূর্গপূজা উদযাপন পরিষদ না বিভিন্ন মন্দির কমিটি পদ পেয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্টানে রাজনৈতিক আলোচনাও বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করেছেন প্রতিটি মন্দিরে টিসিবির মাল দেওয়া হত এবং বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে সাধারন মানুষে মনে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হতো ।বিভিন্ন সময়ে মন্দিরের বিভিন্ন হিসাবের গড়মিলের প্রমান পেয়েছি তিনি আরো বলেন আওয়ামী স্বৈরাচারের পতন হয়েছে ঠিকি কিন্তু প্রেতাত্মা রয়েগেছে আামাদের দাবী এদের ও আইনের আওতায়এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক ।
স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারে পনেরো বছরের নিপিড়িত নির্যাতিত শোষিত দুঃশাসন ও স্বৈরশাসনামলে ইতিহাসের বর্বরোচিত নির্যাতন-নিপীড়নে দল বিএনপি । হত্যা, গুম, হামলা-মামলা, গ্রেফতার-কারাবন্দীর শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা ।বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ থেকে ওয়ার্ডের কর্মী-সমর্থকরাও এ থেকে বাদ যাননি কেউ।
লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের। শুধু বিএনপি করার কারণে ঘর-বাড়ী ছাড়া হয়েছেন অনেকে, হারিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য-চাকরিও। দল ত্যাগ করলেই অর্থ-সুন্দর জীবনের প্রলোভন থাকলেও তারা খেয়ে না খেয়ে রাত্রি যাপন করেছেন ক্ষেতে-খামারে। এতো কিছুর পরেও এখনো বিএনপি দলের মধ্যে কিভাবে আওয়ামীলীগের স্বৈরাচার দালালরা লুকিয়ে থাকে। তাদের উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনা হোক।
এসএম