tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অর্থনীতি প্রকাশনার সময়: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ২০:০৯ পিএম

দেশের নিট রিজার্ভ কমে ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলার


dmytro-demidko-ebwzfkaheau-unsplash

ব্যাংকাররা বলছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি, ভোগ্যপণ্য ও পরিবহন খাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।


ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দেশে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ এসে ঠেকেছে ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে। আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় না বাড়ায় রিজার্ভ কমছে বলে মনে করছেন ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২৩ নভেম্বর দেশের ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ১৯.৫২ বিলিয়ন ডলার। তবে এই অঙ্কের নিট রিজার্ভ, অর্থাৎ ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ আরও ৩.৭ বিলিয়ন কম বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র।

ব্যাংকাররা বলছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি, ভোগ্যপণ্য ও পরিবহন খাতে খরচ বেড়েছে। ফলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও আমদানি ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ না বাড়ায় তৈরি হয়েছে রিজার্ভ সংকট।

এদিকে, আইএমএফ'র নিট হিসাব অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবের ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার থেকে আরও বাদ যাবে প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ এর সদস্য হওয়ায় এসডিআর অ্যালোকেশন বাবদ বাদ যাবে ২ বিলিয়ন ডলার। দেশের ব্যাংকগুলোর এফসি ক্লিনিং অ্যাকাউন্টের ৯৩৭ মিলিয়ন, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ)-এর সদস্য দেশগুলো থেকে আমদানি বাবদ (এখন পর্যন্ত) ৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পেমেন্ট এবং এক বছরের মধ্যে আইএমএফের প্রোজেক্ট পেমেন্ট বাবদ ৩২৬ মিলিয়ন ডলার বাদ দিলে দেশের প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা ১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা কম ছিল। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বৈশ্বিক মন্দা হলে রিজার্ভ ৭ বিলিয়ন থেকে কমে ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং কোভিডের কারণে আমদানি কমে প্রবাসী আয়ে বড় উত্থান হলে ২০২১ সালের আগস্টে মোট রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে এরপরের বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর কারণে জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকলে একাধারে কমতে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

এমএইচ