জলজট-যানজটে স্থবির ঢাকা, ভোগান্তি চরমে
Share on:
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপে আশ্বিন মাসেও বর্ষাকালের আবহ তৈরি হয়েছে রাজধানীসহ সারাদেশে।
সারারাতের মুষলধারে বৃষ্টির ধারা বজায় রয়েছে সকালেও। ফলে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের সকাল থেকেই তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে ঢাকায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীবাসী। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ বেশি বিপত্তিতে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মগবাজার, মালিবাগ, মৌচাকের আশপাশের এলাকা ঘুরে ও গুগল ম্যাপের ট্রাফিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এমন চিত্র দেখা যায়।
এসব এলাকার অনেক স্থানে বৃষ্টির পানিতে সড়ক ডুবে থাকতে দেখা গেছে। মূল সড়ক ও বিভিন্ন অলি-গলিতে পানি থাকায় সড়কে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। এতে স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
সাগরে লঘুচাপের প্রভাব গতকাল বিকেল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকেও এ পরিস্থিতি একই রয়েছে। ভোর থেকে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মুষলধারে নামে সকাল ৮টার পর থেকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষ।
বৃষ্টিতে মৌচাক মোড় থেকে মগবাজার ওয়ারলেস পর্যন্ত সড়কে পানিতে তলিয়ে যায়। এ সড়কটি স্বাভাবিক অবস্থাতেই যানজটপ্রবণ। পানি জমার প্রভাবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে।
মগবাজার মোড় থেকে গাড়ির লাইন সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এবং মৌচাক মোড়ের জ্যাম মালিবাগ মোড় ছাড়িয়ে শান্তিনগর পর্যন্ত পৌঁছেছে। সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ।
সকালে সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, যানজটের কারণে মৌচাক মোড়ে নেমে গেছি। কিন্তু গাড়ি থেকে নেমেই দেখি পুরো সড়ক পানির নিচে। এ অবস্থায় পায়ের জুতা খুলে সড়ক পার হয়ে ফুটপাতে উঠেছি। মাঝে আরও কয়েক দফা পানিতে নামতে হয়েছে।
বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় মহানগরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তীব্র যানজট দেখা গেছে। এই সুযোগে রিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। বাধ্য হয়ে অনেককেই ভিজে ভিজে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ সুযোগ পেয়ে রিকশাচালকরা দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছেন। মগবাজার মোড় থেকে বাংলামোটরে রিকশার স্বাভাবিক ভাড়া ২০ টাকা। সকালে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় চালকরা ৩০ টাকাও দাবি করছেন। বাংলামোটর অংশে পানি জমায় ভাড়া ৪০ টাকা চাচ্ছেন রিকশাচালকরা।
ওমর ফারুক নামে এক যাত্রী বলেন, আমার অফিস হাতিরপুলে। সাধারণত মগবাজার থেকে রিকশায় বাংলামোটরে যাই। এরপর সড়ক পার হয়ে হেটে অফিসে যাই। অফিস টাইমে তারা ৩০ টাকা ভাড়া দাবি করে। কিন্তু আজ ৪০ টাকার কমে কেউ যাবে না। এ দেশে সুযোগ পেলেই সবাই জালিম হয়ে যায়।
এনএইচ