তাইজুলের জোড়া আঘাত, স্বস্তিতে বাংলাদেশ
Share on:
সফরকারীরা আবারও দারুণ শুরু পেয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আবদুল্লাহ শফিক বেশ ভালোই খেলছিলেন। প্রথম টেস্টের মতো এই ম্যাচেও বাংলাদেশি বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন।
ফলে সফরকারীরা আবারও দারুণ শুরু পেয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে ৫৯ রানের সময় প্রথম আঘাতটি হানেন তাইজুল। তার দুর্দান্ত এক ঘূর্ণিতে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন আবদুল্লাহ শফিক। আউট হওয়ার আগে ২৫ রান করেছেন তিনি।
নিজের পরবর্তী ওভার করতে এসে আবারও তাইজুল জাদু। ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে কটবিহাইন্ডের আবেদন করেন তাইজুল।
তবে রিভিউ নিলেও আম্পায়ার সেই ডাকে সাড়া দেননি। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি পাকিস্তানি ব্যাটারের ব্যাট হালকা ছুঁয়ে গেছে।
তবে দ্বিতীয় উইকেটের জন্য স্বাগতিকদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যখন ৭০ রান ঠিক তখন আবারও উইকেটশিকারির ভূমিকায় তাইজুল। এবার তার শিকার ৩৯ রানে ব্যাট করতে থাকা অপর ওপেনার আবিদ আলি।
এই রিপোর্ট লেখার সময় ২ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রানে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে পাকিস্তান। ৬ রানে ব্যাট করছেন আজহার আলি ও ৮ রানে অধিনায়ক বাবর আজম।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে মোট ৩টি পরিবর্তন এসেছে। চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এছাড়া এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তরুণ ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ের। অসুস্থতার কারণে এই টেস্ট থেকে ছিটকে পড়া ওপেনার সাইফ হাসানের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহীর জায়গায় নেওয়া হয়েছে খালেদ আহমেদকে। তবে একাদশে জায়গা হয়নি আগের ম্যাচেই অভিষেক হওয়া ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির।
এর আগে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে এরই মধ্যে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। তাই ঢাকা টেস্ট জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিকদের।
এইচএন