আ.লীগের কারণে দেশ মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়লো : শামা ওবায়েদ
Share on:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের একগুঁয়েমির কারণে দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘জঘন্য’ ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়লো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
তিনি কালবেলাকে বলেন, বাংলাদেশে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে তিন মাস আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল। তাদের কাছে এখন হয়তো মনে হয়েছে যে- এখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। এ জন্যই তারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেত্রী।
শামা ওবায়েদ বলেন, আমাদের বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসে আছেন। সে অবস্থায় তারা এই ভিসানীতি আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যে বলে দিয়েছে যে, নির্বাচনে তারা কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। কারণ, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তারা দেখছেন না। এরপর তো আর বলার কিছু বাকি থাকে না। শেখ হাসিনা সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক বিশ্বের আর কোনো আস্থা নেই। কারণ তারা জানে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়েছে। এসব মামলায় এখন চার্জশিট দিচ্ছে। মানুষকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। নির্যাতন করছে, গুলি করছে। গত ২৯ জুলাই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে বেদম পেটানো হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীদের জেলে ঢুকানো হচ্ছে। কীসের নির্বাচন, কীসের নির্বাচনী পরিবেশ, কীসের গণতন্ত্র। এগুলো তো সারাবিশ্ব দেখছে।
বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে- সেসব দেশ তো পরিষ্কারভাবে বলছে যে, তারা বাংলাদেশে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। সেখানেও উজরা জেয়া বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আর কতভাবে তারা সরকারকে বোঝাবে। এখনো যদি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় না হয়, বোধোদয় না হয়।