জ্বালানি তেলের দাম কমাতে কর প্রত্যাহার করছে পাকিস্তান
Share on:
জ্বালানি তেলের দাম কমাতে পেট্রলের ওপর সবধরনের কর বিলোপের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। পাশাপাশি, তেলের দাম কমানোয় যে লাভ হবে, তার পুরোটাই জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অর্থ উপদেষ্টা শওকত তারিন।
জ্বালানি তেলের দাম কমাতে পেট্রলের ওপর সবধরনের কর বিলোপের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান।
পাশাপাশি, তেলের দাম কমানোয় যে লাভ হবে, তার পুরোটাই জনগণের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অর্থ উপদেষ্টা শওকত তারিন।
আজ শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) করাচিতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা পুনঃঅর্থায়ন না করলে অন্য কিছু করতে হবে।
প্রকৃত মুদ্রা বিনিময় হার ১৬৫, ১৬৬’র কাছাকাছি হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের মুদ্রা অন্তত ১০ রুপি পেছনে রয়েছে।
তার মতে, পাকিস্তানের মূল সমস্যা দারিদ্র্য নয়, বরং মূল্যস্ফীতি। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে পাকিস্তানে দারিদ্র্যের হার এক শতাংশ কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সমস্যা নিম্ন মধ্যবিত্তদের নিয়ে। কারণ তারা শোষিত হচ্ছে।
ইমরান খানের অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশে পৌঁছেছে এবং দেশটি তেলের দামের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার পর তা কমতে শুরু করেছে।
শওকত তারিন বলেন, পাকিস্তান সরকার কোনো কর বাড়ানোর অনুমতি দেবে না এবং নতুন কোনো কর আরোপও করা হবে না।
শুধু কর অব্যাহতি রহিত করা হবে। পেট্রলের ওপর সবধরনের কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। তেলের দাম কমানোর সব লাভ জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
পাকিস্তানি রুপির বিষয়ে তিনি জনগণকে কোনো গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানান। রুপির মান আর কমবে না বলেও নিশ্চয়তা দেন দেশটির অর্থ উপদেষ্টা।
ডলার থেকে বাড়তি উপার্জনের আশায় বসে থাকা লোকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে শওকত তারিন বলেন, এদের বিশাল ক্ষতি হতে চলেছে। ডলারের মান কমে গেলে এমন ধান্দাবাজরা চমকে উঠবে।
পাকিস্তানের অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের কৃষি খাতের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ কারণে সরকার সার কোম্পানিগুলোকে গ্যাসের জন্য ১৫ হাজার কোটি রুপির বেশি ভর্তুকি দিচ্ছে।
এর আগে, অর্থনৈতিক সংকট কাটানোর কথা বলে গত ৪ নভেম্বর রাত থেকে পাকিস্তানে পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম লিটারপ্রতি প্রায় আট রুপি বাড়ায় পাকিস্তান সরকার। এর জেরে ইমরান খানের পদত্যাগের দাবি তোলেন বিরোধীরা।
এরপরও ব্যাপক মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে তেলের দাম আরও বাড়ানোর সুপারিশ করে পাকিস্তানের তেল ও গ্যাস নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ। তবে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন ইমরান খান।
পাকিস্তানে বর্তমানে পেট্রলের দাম প্রতি লিটার ১৪৫ দশমিক ৮২ রুপি এবং ডিজেলের দাম ১৪২ দশমিক ৬২ রুপি।
এছাড়া কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ১১৬ দশমিক ৫৩ রুপিতে এবং হালকা ডিজেল ১১৪ দশমিক ০৭ রুপিতে। তথ্যসূত্র: জিও টিভি।
এইচএন