জনগণ আজ অধিকার বঞ্চিত: মুজিবুর রহমান
Share on:
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, দেশের জনগণ আজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে সকল ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের সংবিধান অধিকার নিশ্চিত করলেও এক শ্রেণির মানুষ জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ষাণ্মাসিক দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, লস্কর মো: তসলিম, কবির আহমাদ, মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, মনসুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসাইন প্রমুখ।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে মানুষের প্রতি সুবিচার করতে হবে। মানুষের ইনসাফ ও হক নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। আজ সেই ঘোষণাপত্র লঙ্ঘন করা হচ্ছে। আজ দেশ সংবিধান অনুসারে চলছে না। দেশে মানবাধিকার নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। সাধারণ মানুষের নামে একের পর এক গায়েবি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জুলুম করছে। এই জুলুমের বিরুদ্ধে শ্রমজীবী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, তৃণমূলের শ্রমজীবী মানুষরা ঐক্যবদ্ধ হলে সকল জুলুমের অবসান খুব শিগগিরই নিশ্চিত হবে। শ্রমজীবী মানুষদের হাত ধরে আন্দোলনের বিজয় সূচিত হবে। সেই বিজয়ের লক্ষ্যে নেতৃবৃন্দকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা শ্রমজীবী মানুষদের নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের আন্দোলনকে চূড়ান্তরূপ দিতে হবে। যারা সততা ও সাহসের সাথে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করবে আল্লাহ তাদের সাফল্য দান করবেন।
অধ্যাপক মুজিব বলেন, জালিমের রোষানলের শিকার হয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম কারাগারে বন্দি আছেন। সাবেক সভাপতি মিয়া গোলাম পরওয়ারও বারবার জামিন পাওয়া সত্ত্বেও সরকার তাকে মুক্তি দিচ্ছে না। উভয়ের দ্রুত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, শ্রমিক সংগঠনের কাজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আদর্শিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠন শক্তিশালী করার জন্য নেতৃবৃন্দকে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। তৃণমূল সংগঠন শক্তিশালী হলে জাতীয় সংগঠন মজবুত কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে যাবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি