দেশবাসীকে ভয় ভীতি কোরবানি দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের
Share on:
দেশবাসীর কাছে আজকের এই দিনে সমস্ত ভয় ভীতিকে কোরবানি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে শেরে- ই বাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
ঈদ মানে খুশি, এই খুশির মন-মানসিকতা আজ বাংলাদেশের জনগণের মাঝে নেই জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, সকলের বেদনাকৃষ্ট মুখ, বেদনাভুত চেহারা। আজ সারাদেশের মানুষ অক্টোপাসের মত বন্দি অবস্থায় আছে। আমরা কোনোদিক দিয়ে ভালো অবস্থানে নেই। শান্তিতে আমরা নাই।
দল এবং শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে আব্বাস বলেন, আমাদের বহু নেতাকর্মী জেলে অবস্থান করছেন। বহু নেতাকর্মীর ঈদ জেলে কাটে, কারো কারো ফুটপাতে কাটে।
তিনি বলেন, যারা ঘরে থাকতে পারেন না। সেই সব নেতাকর্মীদের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন ছাড়া আমাদের আর কোনো রাস্তা নেই।
এদেশের মানুষ আজ কথা বলতে পারে না, কথা বলার অধিকার নেই, না খেয়ে মরে যাবে, তবুও কথা বলতে পারবে না। এ থেকে উত্তরণের জন্য দেশবাসীর কাছে এই কুরবানির দিনে সমস্ত ভয়-ভীতিকে কুরবানি দিয়ে এই সরকারকে অবশ্যই মোকাবেলার মতো তৌফিক আল্লাহ তায়ালা দিন- এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মির্জা আব্বাস।
বহু দেশ বাংলাদেশের উপরে আজ খবরদারি করছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের প্রভুত্ব অন্য দেশের হাতে বিকিয়ে দিয়ে এই সরকার নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এ দেশের জনগণের যত কষ্ট এই অবৈধ সরকারের জন্যই। যদি ভোটে নির্বাচিত সরকার হতো তাহলে দেশে জনগণের কোনো কষ্ট থাকতো না। এটা প্রমাণিত।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন একটি দ্বীপ, যেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ কিন্তু সেটি আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সেখানে খাদ্যসামগ্রী পাঠানো যাচ্ছে না। কার ভয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়ে? অথচ এই মিয়ানমার সেনাবাহিনী ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতির কাছে নত হয়ে মাফ চেয়ে বিদায় নিয়েছিল। সেই মিয়ানমারের আজ কতটুকু ঔদ্ধত্য হয়েছে, তারা আমাদেরকে রক্তচক্ষু দেখায়। কারণ এই দেশে একটি অবৈধ সরকার, অনৈতিক সরকার। দেশ ও দেশের বাইরে তাদের কোনো সমর্থন নেই। এ কারণেই মিয়ানমার একটা সুযোগ নিচ্ছে।
দলীয় প্রধান সম্পর্কে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ। নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন তিনি ।
এসময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ