tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১০:৫৭ এএম

আটক-অভিযানের মুখেও খুলনায় নেতাকর্মীর ঢল


1

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশেকে কেন্দ্র করে পুলিশের আটক অভিযান উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে।


বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বাস বন্ধের ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন উপায়ে জড়ো হতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।

শনিবারের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই নেতাকর্মীদের এ উচ্ছাস আর ঢল।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তাদের যানবাহনসহ আটক করেছে। তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মী তাদের থাকার নির্ধারিত স্থানে পোঁছাতে পেরেছেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ সকাল ৬টা থেকে খুলনায় বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে।

বিএনপির অভিযোগ, আগামীকালের গণসমাবেশে যোগ দেয়া ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ব্যাপকভাবে নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় করছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার যশোরের ৪৮ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে বিএনপি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়। এছাড়া খুলনায় রাতে বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে দলটি। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বসুপাড়ায় গয়েশ্বর রায়ের অবস্থানস্থল থেকেই আরো ১৩ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে মিডিয়া বিভাগের আহ্বায়ক এহতেশামুল হক শাওন জানান, নগরীর সব জায়গা থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের আটক করেছে। তবে সংখ্যাটা দুপুরের পরে জানান যাবে।

তিনি জানান, অন্যান্য জেলা থেকে যারা যানবাহন ভাড়া করে শহরে ঢুকছেন তারা পুলিশের তল্লাশীর মুখে পড়ছেন। মাগুরা থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে আসা পাঁচ থেকে ছয়জনকে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ বাহনসহ আটক করে নিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে দশ সহস্রাধিক মানুষ সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্যে খুলনা পৌঁছে গেছেন বলেও জানান তিনি।

এর আগে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে বিএনপির গণসমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে আসার পথে বিক্ষিপ্ত হামলা ও বাধার মুখে পড়েন নেতাকর্মীরা। বন্ধ করে দেয়া হয় যানবাহন চলাচল। একইভাবে খুলনায় গণসমাবেশের দু’দিন আগেই বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। এছাড়া ভৈরব-রূপসা নদীর ফেরি ও খেয়া নৌকা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কর্মসূচিতে যত বাধা আসবে, ততই আন্দোলনে সফলতা আসবে। তাদের চলমান এ আন্দোলন যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না তাদের হটানোর আন্দোলন বলেও জানান তিনি।

এন