tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ১৮ জুন ২০২৪, ১৯:৩১ পিএম

ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে ইচ্ছা থাকতে হবে : রফিকুল ইসলাম


Photo Press Rofiqul (JDCS 18 June 2024) (2)

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে ইচ্ছা থাকতে হবে।


তিনি মঙ্গলবার ( ১৮ জুন) ঈদুল আজহা পরবর্তী সময়ে নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় সাধারণ জনতার সাথে সৌজন্যতা বিনিময় কালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সকল নবী-রাসূলগণই দ্বীন কায়েমের এ মহান কাজে নিয়োজিত ছিলেন। কেহ দ্বীনকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কায়েম করতে সক্ষম হয়েছেন, কেহ হননি। কিন্তু সকলেই দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টায় আপোসহীন ছিলেন। ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ে আমাদের যেকোনো ত্যাগ কুরবানী প্রদর্শনের আগ্রহ ইচ্ছা থাকা জরুরি। এ-ধারা চলমান এমন কি সাহাবীগণের মাঝেও এমন কোনো সাহাবী খুঁজে পাওয়া যায় না যিনি ইকামাতে দ্বীনের কাজ হতে বিরত ছিলেন। সাহাবীগণ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজে সকলেই ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল এদেশে কুরআনের সমাজ বিনির্মাণ করা। ইকামাতে দ্বীনের বিজয়ের জন্য আমরা সে লক্ষ্যেই যাবতীয় প্রচেষ্টা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, ত্যাগ ও কুরবানীর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ইসলামী সমাজ কায়েমের পথে এগিয়ে যেতে হবে। হযরত মুহাম্মদ (সা) এর ডাকে ইসলামকে টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে সাহাবারা বদরের প্রান্তরে একত্রিত হয়ে বাতিলের বিপক্ষে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেলি। একইভাবে বাংলাদেশে ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলনে যদি আমরা সে বিশ্বাস লালন করে সামনে অগ্রসর হতে পারি তাহলে মহান আল্লাহ আমাদেরেও বিজয় দান করবেন ইনশাআল্লাহ। ইসলামী আন্দোলনের কুরআনিক পরিভাষা হচ্ছে ‘জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ’। একাজে অংশগ্রহণ প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের অপরিহার্য দাবি। বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এ মহান কাজ শুধুমাত্র আমাদের উপর ফরজই নয় ইহা ফরজে আইন তথা অবশ্যই পালনীয় বিষয়।

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা) অহি পাওয়ার পর তার বিশ্রামের সুযোগ হয়নি, অতএব আমাদেরও বসে থাকার সময় নেই। যেহেতু ইসলামী আন্দোলন ঈমানের অপরিহার্য দাবি, তাই আসুন সবাই মিলে ইসলামী আন্দোলনের কাজে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করি।

পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২২৩ তম শহীদ আনিসুর রহমানের বাড়িতে যান এবং শহীদের পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেন। শহীদ ১৩ এপ্রিল ২০১৫। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মু. কামারুজ্জামান এর ফাসিঁর রায়ের পরের দিন হরতাল চলাকালে পুলিশের নির্যাতনে শাহাদাতবরন করেন মাওলানা ভাসানি কলেজের মেধাবী ছাত্র ও সংগঠনের সাথী মো. আনিসুর রহমান। তিনি সিরাজগঞ্জে জেলার উল্লাপাড়া সদর উপজেলার পারকুল গয়হাজায় জন্ম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের ছোট ভাই মো. শাহ আলমের ইন্তেকালের খবর শুনে তার পরিবারের সাথে সাক্ষাতে ছুটে যান। মরহুম শাহ আলম মাস্টার গত ১০ জুন সোমবার সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে পরবর্তীতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পরিবারের সাথে সাক্ষাৎকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, তার পিতা আলহাজ হাবিবুর রহমান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। জননেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করেন, আল্লাহ যেন তার নেক আমল সমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করেন এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।

প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ