tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২০ জুন ২০২২, ১১:০৫ এএম

সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেন ম্যাক্রোঁ


emmanuel_macron-2022

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে জিততে পারলেন না। তারা সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারেনি। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।


ম্যাক্রোঁর মন্ত্রীরা বলেছেন, এই ফলাফল হতাশাজনক। তারা প্রথম স্থানে আছেন ঠিকই কিন্তু ফলাফল তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।

জোটের শরিক নেতা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী এবং পরিবেশমন্ত্রী পরাজিত হয়েছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ম্যাক্রোঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী ক্রিস্টোফে ক্যাস্টানের হেরে গেছেন।

জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোটের নাম হলো এনসেম্বল। এই মধ্যপন্থি জোটই আগে ক্ষমতায় ছিল।

পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ২৮৯ আসন। কিন্তু ম্যাক্রোঁর জোট আসন পেয়েছে ২৪৫টি।

জানা গেছে, জ্যঁ লুক মেলাঞ্চের নেতৃত্বে জোট বেঁধেছেন সমাজবাদী, বামপন্থি ও গ্রিন পার্টি। তাদের বলা হচ্ছে নুপেস জোট। তারা ১৩১টি আসনে জিতেছেন। মেলাঞ্চ বলেছেন, এই ফলাফল দেখিয়ে দিচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ব্যর্থ।

এদিকে, কট্টর দক্ষিণপন্থি ল্য পেন ছিলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। তার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল রেলি পার্টি ৮৯টি আসনে জিতেছে। আগের পার্লামেন্টে পেনের দল পেয়েছিল আটটি আসন। ফলে আসনপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে তারা বিপুল সাফল্য পেয়েছে এবং তৃতীয় স্থানে আছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচনী ফলাফল ফ্রান্সের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে জটিল করে দিয়েছে। হাং বা ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হয়েছে, কেউই চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। ফলে রাজনৈতিক দিক থেকে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এখন দল ও জোটগুলো ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে পারে। সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট মিতেরঁর আমলে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত এমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় বিকল্প হলো, রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং আবার নির্বাচন। গত এপ্রিলেই ম্যাক্রোঁ দ্বিতীয়বারের জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস পরেই পার্লামেন্ট নির্বাচনে সেই ম্যাক্রোঁই নিজের জোটকে জেতাতে পারলেন না।

ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রক্ষণশীল এলআর ৬১টি আসন পেয়েছে। তারাই কিং-মেকারের ভূমিকা নিতে পারে।

এছাড়া পার্লামেন্টে নিজের জোট ক্ষমতায় না এলে ম্যাক্রোঁ তার সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। অবসরের বয়স বাড়াতে পারবেন না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তাকে বাধার মুখে পড়তে হবে।

এইচএন