টিএসসিতে ছাত্রলীগের হামলা, কাওয়ালি অনুষ্ঠান পণ্ড
Share on:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত কাওয়ালী অনুষ্ঠানে হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত কাওয়ালী অনুষ্ঠানে হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
গতকাল বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে টিএসসির পায়রা চত্ত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে৷ এখানেই কাওয়ালী অনুষ্ঠানের মঞ্চ করা হয়।
আয়োজকদের অভিযোগ, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি গ্রুপ টিএসসি প্রাঙ্গণে আসে। সেখানে কোনো ধরণের কথাবার্তা ছাড়াই অনুষ্ঠানে আগত মানুষদের উপর হামলা করা হয়।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জাহিদ আহসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, অনুষ্ঠান শুরুর আগে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন কাওয়ালী গানের আসর অনুষ্ঠানের সাউন্ড সিস্টেমের স্বত্বাধিকারী তৈয়বকে ফোন করে তার সরঞ্জাম এ অনুষ্ঠানে দিতে নিষেধ করে দেন।
পরে অন্য আরেক জায়গা থেকে সাউন্ড সিস্টেম এনে অনুষ্ঠান শুরু করার আগেই ঘটনাস্থলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা এসে অতর্কিত হামলা-মারধর ও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো শুরু করে।
এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তাসফিয়া তাসনিম রায়া, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদসহ অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রায়ার মাথা ফেটে গেছে।
হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীর অফিসে যান। অফিসের সামনে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রক্টর বলেন, তোমাদের কথা আমি শুনেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের কথা বলে এখানে দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
মূলত আয়োজকরা নিজেরা নানা দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে এই হামলা ঘটিয়েছে। এখানে নারীরা থাকবে কি থাকবে না?
প্রকাশ্যে গান গাওয়া যাবে কিনা এসব নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। যার কারণেই নিজেদের মারামারির ঘটনা ঘটে।
সাদ্দাম বলেন, যখনই তাদের মধ্যে কোন অঘটন ঘটে, সংগঠনে কোন ঝামেলার কারণে বিভক্তি দেখা দেয় তখন তারা ছাত্রলীগের উপর দায় চাপানোর রাজনীতি করে।
এইচএন