ইরান-ইসরায়েল পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ কি অনিবার্য?
Share on:
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া। সেখানে হানিয়ার বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন হামাসপ্রধান ও তার একজন দেহরক্ষী। এ ঘটনায় আবারও তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।
প্রশ্ন উঠছে, রাজধানীর বুকে রাষ্ট্রীয় অতিথি নিহত হওয়ার জবাবে কী পদক্ষেপ নেবে ইরান? তারা কি আবারও ইসরায়েলে হামলা চালাবে?
কয়েক মাস আগে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। ইসরায়েলের মাটিতে এটিই ছিল প্রথমবার ইরানের সরাসরি হামলার ঘটনা।
যদিও গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ৯৯ শতাংশই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরায়েল ও এর মিত্ররা। তবে প্রতিরোধ দেওয়াল ভেদ করে কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ ইসরায়েলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে ‘সামান্য ক্ষয়ক্ষতি’র খবর দিয়েছিল ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ)।
সে সময় ইরান যে এভাবে হামলা করবে, তা আগে থেকেই জানতো ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। তারপরও, ইরানের নজিরবিহীন সামরিক পদক্ষেপ ছিল মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
হামলার পরপরই ইরান ঘোষণা দিয়েছিল, এর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলে আরও বড় আক্রমণ করবে তেহরান। অন্যথায়, যুদ্ধ ওখানেই শেষ। এই লড়াই থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের অন্য মিত্রদের দূরে থাকার ব্যাপারেও সতর্ক করেছিল ইরান।
তবে সেই ঘটনার তিন মাস যেতে না যেতেই আবারও ইরানের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে প্রশ্ন জাগছে, এখন কীভাবে এর প্রতিক্রিয়া দেখাবে তেহরান?
এ ব্যাপারে আল-জাজিরার সংবাদদাতা আলী হাশেম লিখেছেন, ইরানের মাটিতে ইসমাইল হানিয়া নামে একজন রাষ্ট্রীয় অতিথিকে হত্যা করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন হলো, ইরান এবার কী করবে? পুরো অঞ্চলেই এর বড় প্রভাব পড়তে পারে। এর অর্থ হতে পারে, ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলা। তবে তারপরে কী হবে, তা আমি বলতে পারছি না।
এনএইচ