tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ২১:৪৩ পিএম

দেশটা কি আওয়ামী লীগ দলিল করে নিয়েছে, প্রশ্ন রিজভীর


001

‘আওয়ামী লীগ কি দেশটাকে একেবারে দলিল করে নিয়ে নিয়েছে নাকি? রাষ্ট্র তাদের নিজস্ব পৈতৃক সম্পত্তি’—এমন প্রশ্ন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।


আজ শনিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ মন্তব্য বলেন। ‘আগামী ১০০ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে’—তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্র পাহারা দেবে? কার বিরুদ্ধে পাহারা দেবে? আওয়ামী লীগ কি দেশটাকে একেবারে দলিল করে নিয়ে নিয়েছে নাকি? রাষ্ট্র তাদের নিজস্ব পৈতৃক সম্পত্তি? আর সবাই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক?’

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১০০ দিন রাষ্ট্র পাহারা দিতে হবে। কারণ, বিএনপি-জামায়াত দেশটাকে বিশ্ব বেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চাচ্ছে।’

রিজভী বলেন, ‘একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী নিজেদের ক্যাডারদের বলেছেন ১০০ দিনের জন্য রাষ্ট্র পাহারা দিতে, এগুলো কিসের আলামত? শেখ হাসিনা দেশকে কোন পথে নিতে চাচ্ছে? সন্ত্রাসী মনোভাবাপন্ন ক্যাডারদের দিয়ে রাষ্ট্র পাহারা দেবে? রাষ্ট্র কি শুধু আওয়ামী লীগারদের?’

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশটাকে তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় ক্যাডার বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলে বিরোধী পক্ষের উপর লেলিয়ে দেয়। ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকঢোল পিটিয়েই লগি-বইঠা দিয়ে বা অন্যান্যভাবে বিএনপির কর্মসূচিকে নির্মূল করার ঘোষণা তারা দিয়েছে এবং বাস্তবায়ন ও করছে রক্তাক্ত পথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জীবন নিয়ে। বিএনপিকে বল প্রয়োগে উৎখাতের পরিকল্পনা নিয়েছেন শেখ হাসিনা।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে দেশব্যাপী চিরুনি অভিযান চলছে জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘গ্রেপ্তার থামছে না। কারও নিস্তার নেই, চলছে চিরুনি অভিযান। জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল, একেবারে ইউনিয়ন পর্যন্ত গ্রেপ্তারের যে হিড়িক চলছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’

রিজভী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৬ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় ৫৭৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ২৩ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময়ে মামলা হয়েছে ১১৩টি।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ‘কেন আপনি নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কারা অন্তরীণ করেছেন? কে আপনি দেশব্যাপী ব্যাপক ধড়পাকড় করেছেন বিএনপিসহ তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। নেতা-কর্মীদের ধরতে গিয়ে বাসায় না পেয়ে তাদের বাবা, ভাইকে আটক করেছে।’

দলের কারাবন্দী শীর্ষ নেতাদের নির্যাতনের অভিযোগ এনে রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ কারাগারে। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সঙ্গে প্রচণ্ড অসদাচরণ করা হচ্ছে। তাঁকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে। তাঁর উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস। তিনি উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁকে কোনো ঔষধ পর্যন্ত দেওয়া হয় নাই। এক মনুষ্যত্বহীন অবিচারে তাঁকে মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে।’

এনএইচ