tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৮ পিএম

কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে আবারও মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র


us_20240329_085741188

ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য দিল্লিতে নিযুক্ত শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিককে ডেকে পাঠিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়ার একদিন পরে আবারও যুক্তরাষ্ট্র ভারতের দুটি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছে।


প্রথমে জার্মানি এবং তারপরে আমেরিকা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিল। দুটির ক্ষেত্রেই অত্যন্ত কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভারত।

ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়ার একদিন পর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি এবং সংশ্লিষ্ট আইনি পদক্ষেপের ওপরে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া, ভারতের আয়কর বিভাগ তাদের কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দিয়েছে বলে ভারতের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেস যে অভিযোগ তুলেছে, তা নিয়েও মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সব মন্তব্য করেছেন।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, কংগ্রেস দল যে অভিযোগ তুলেছে যে আয়কর বিভাগ তাদের কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে, যে কারণে আসন্ন নির্বাচনে প্রচার চালানো তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে উঠেছে, সে ব্যাপারটিও আমাদের নজরে আছে। এই সব বিষয়গুলির ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষ, ন্যায্য এবং সময়ের মধ্যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এটাই আমরা আশা করি।

তবে দিল্লিতে নিযুক্ত দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধানকে ডেকে পাঠিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বৈঠক করেছে, সে ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি মিলার।

এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কূটনৈতিক স্তরে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে আমি কিছু বলব না। কিন্তু নিশ্চিতভাবে সর্বসমক্ষে আমরা যা বলেছি আগে, এখনও সেই কথাই বলছি। নিরপেক্ষ, ন্যায্য এবং সময়ের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া চলবে, এটাই আমাদের আশা।

‘আমাদের মনে হয় না এতে কারও আপত্তি থাকতে পারে। ব্যক্তিগত স্তরেও আমরা স্পষ্ট করে এটাই বলতে চাই,’ যোগ করেন ম্যাথিউ মিলার।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে সর্বপ্রথম মুখ খুলেছিল জার্মানি।

তার পরে মঙ্গলবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ভারত দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের ডেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানোর পরে দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্র একই বিষয়ে মন্তব্য করলেও জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন করে এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলতে চায়নি।

এনএইচ