ভারত প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সব সময় প্রভুত্ব রাজনীতি করছে : মির্জা ফখরুল
Share on:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ভারত সব সময় প্রভুত্ব রাজনীতি করছে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তাদের সশস্ত্র বাহিনীতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে যে নির্দেশ দিয়েছেন বলে যে খবর প্রকাশ পেয়েছে, তার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব একথা বলেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে আসেন মহাসচিব। পরে মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আসলে ভারত তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে তাদের যে রাজনীতি এবং তাদের যে আচরণ সেটা কোন প্রেক্ষিতে, কীভাবে করছেন সেটা তারাই ভালো বোঝেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখতে পারছি, শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক খুব ভালো যাচ্ছে না। এর প্রধান কারণ ভারত সব সময়ই প্রভুত্ব একটা রাজনীতি করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে, যেটা ভারতের জন্য শুভ কিছু বয়ে আনবে না, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জন্য শুভ হবে না। সুতরাং, পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে মর্যাদার ভিত্তি, পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত বলে আমরা মনে করি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনের হাত থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ মুক্ত হয়েছে। এই বিপ্লবে দেশের অসংখ্য ছাত্র-জনতা, এমনকি নারী ও শিশু প্রাণ দিয়েছেন। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নারীদের যে অবদান, সেটাকে আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারব না। আজকে মহিলা দল তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শপথ নিয়েছে যে, স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে এই স্বাধীনতাকে সুসংহত করবার জন্য, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করার জন্য এবং দেশে আইনের শাসন, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা তাদের সংগ্রামকে অব্যাহত রাখবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, দেশে যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তারা জনগণের রায় ও মতামতের ওপর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারগুলোকে সস্পন্ন করে দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দুইবার দেখা করেছি। প্রতিবারই আমরা বলেছি, যে সংস্কারগুলো করতে চান সেগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে এবং সেটার সময় নির্ধারণ করতে, যাতে একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে, সে জন্য আমরা তাকে অনুরোধ করেছি।
পরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এই সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ মহিলা দলের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ