পেকুয়ায় ৩৫ গ্রাম প্লাবিত
Share on:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ভারি বর্ষণে ও উজানের ঢলে উপজেলার শিলখালী ও টইটং ইউনিয়নের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়ছে এসব ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। পানির তোড়ে ভেঙে অন্তত ১১টি গ্রামীণ সড়ক।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া সড়কের অন্তত ১০টি স্থানে ভেঙে গেছে। জারুলবনিয়া স্টেশন এলাকায় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ৩০ ফুট সড়ক ভেঙে মানুষের বসতঘরে পানি ঢুকেছে। ধসে পড়েছে মাটির দেয়ালের অন্তত ১২টি বসতঘর।
এদিকে শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া, সেগুনবাগিচা, টুইন্যামোড়া, ভেটভেটি পাড়া, মাঝেরঘোনা, চেপ্টামোড়া, হেদায়াতাবাদ, মাতবরপাড়া, কাছারীমোড়া, টইটং ইউনিয়নের বটতলী ১নং ওয়ার্ডের মালাগাড়া, আলিগ্যাকাটা, কোনা পাড়া, বকসো মুরা, ওয়াছ খাতু পাড়া, নতুন পাড়া, হাবিব পাড়া, রিজাভ পাড়া, ২নং ওয়ার্ডের পন্ডিত পাড়া, শের আলি মাস্টার পাড়া, হাজির পাড়া, মিত্যান্ত ঘোনা, ৩ নং ওয়ার্ডের বাজার পাড়া, ৫ নং ওয়ার্ডের বড়পাড়া, পুরাদিয়া, বাজার পাড়া, ৭ নং ওয়ার্ডের হাজিবাড়ি, মাঝর পাড়া, ৮ নং ওয়ার্ডের হিরাবুনিয়া পাড়াসহ প্রায় ২২টি গ্রামের অন্তত দুই শতাদিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।
চলাচলের রাস্তার এ পাশ থেকে অপর পাশে স্রোতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মানুষের ধান, মাছ, সবজি ক্ষেতসহ ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও টইটং উচ্চ বিদ্যালয়, টইটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টইটং ইক্বরা স্কুল, টইটং আলহেরা মডেল একাডেমি, হাজিবাজার আহালিয়া ইলামিয়া বালিকা মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্লাবিত হওয়ায় ব্যাহত হয় শিক্ষা কার্যক্রম।
টইটং হাজির বাজার হতে রমিজপাড়া সংযোগ সড়কের মাঝের পাড়া এলাকার ৬০ ফুট রাস্তা ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। শীলখালী জারুলবুনিয়া সড়কের মাঝ অংশ বিলীন হয়ে গেছে। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসব এলাকার মানুষ এখন গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আহমদ শফি বলেন, পাহাড়ি ছড়া ছোট হয়ে যাওয়ায় ও ছড়া দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় ঢলের পানি উপচে এবং ভেঙে মানুষের বসতঘর প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি না কমলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, অতি বৃষ্টির ফলে শিলখালীর জারুলবনিয়া সড়কের ১০টি স্থানে ভেঙে গেছে। অন্তত ১২টি বসতঘর ধসে পড়েছে।
এদিকে ইউপির সদস্য আবদুল জলিল বলেন, কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণে টইটংয়ে ডুবে গেছে অন্তত ২২টি গ্রাম। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধানের বীজতলা ও সবজি ক্ষেত। বেশিরভাগ বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। চরম বেকায়দায় ও দুর্ভোগে দিন পার করছে এখানকার মানুষ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) পেয়ারু বেগম বলেন, ভারি বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে পেকুয়ার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ি ও মাছ, ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
এনএইচ