tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আইন আদালত প্রকাশনার সময়: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৪৫ পিএম

শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসের মামলার রায় ১ জানুয়ারি


dr-yunus-20231224203144

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন শ্রম আদালত।


মামলায় পক্ষে ও বিপক্ষে উভয়ের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করার পর রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান।

অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য দিন ধার্য ছিল আজ। এদিন শুনানিতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি উপস্থিত হয়েছেন শ্রম আদালতে। এরপর পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য রোববার দিন ঠিক করেছেন আদালত।

গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালত ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার আইনগত বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় আজ ২৪ ডিসেম্বর পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিন যুক্তি উপস্থপনের শুনানির বিষয়ে ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ মামলার সাক্ষীদের বর্ণনায় ড. ইউনূসসহ অন্যরা সংশ্লিষ্ট আছেন এমন কোনো বর্ণনা নেই। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ডকুমেন্ট নেই। তিনি আরও বলেন, মামলার আর্জিতে কোথাও আসামিরা অপরাধী এমন কোনো অভিযোগ উল্লেখ নেই।

এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর এ মামলায় ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শ্রম আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। ওইদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সপ্তম বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

গত ৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চারজন আসামির ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন রাখেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।

এমএইচ