দিনাজপুর বোর্ডের স্থগিত পরীক্ষা ১০-১৩ অক্টোবর
Share on:
প্রশ্নফাঁসের কারণে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের স্থগিত হওয়া চারটি পরীক্ষা হবে ১০-১৩ অক্টোবর। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুপুরের মধ্যেই পরীক্ষার তারিখ ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। সম্ভাব্য সময় ১০, ১১, ১২ ও ১৩ অক্টোবর।
এর আগে প্রশ্নফাঁসের কারণে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন চলমান এসএসসির চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এ চার বিষয় হলো— গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞান ও রসায়ন।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২০২২ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষার গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, কৃষি বিজ্ঞান এবং রসায়ন বিষয়ের পরীক্ষা অনিবার্য কারণ বসত স্থগিত করা হলো। স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষার তারিখ যথাসময়ে জানানো হবে।
এ বিষয়ে বুধবার শিক্ষাসচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণেই দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এসএসসির চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগের থেকে প্রশ্নফাঁসের এবারের ধরন ভিন্ন। কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারিতে যে প্রশ্নফাঁস হলো তা থানার লকার থেকে আনার সময় ফাঁস হয়েছে। মূলত সেখানকার কেন্দ্র সচিব এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি বিজ্ঞান বিভাগের বাড়তি কিছু প্রশ্ন নিয়ে নেন। যা পরে আমাদের নজরে আসে। তবে প্রশ্নগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। প্রশ্নগুলো তিনি বাণিজ্যিক উদ্দেশে নাকি ব্যক্তিগত কারও সহায়তার উদ্দেশে নেওয়া হয়েছে তা তদন্তে জানা যাবে।
যেভাবে প্রশ্ন ফাঁস হলো
কীভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো— সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে শিক্ষাসচিব বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো. লুৎফর রহমানের মাধ্যমেই প্রশ্ন ফাঁসে ঘটনা ঘটেছে। তিনি ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্ন আনার সময় অন্য কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্ন নিয়ে আসেন। যা পরে অন্যান্যদের দৃষ্টিগোচর হয়। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন শিক্ষক জড়িত আছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। ওই কেন্দ্র সচিব নিজেও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
পাঁচ বিষয়ের প্রশ্ন পাওয়া গেলেও কেন চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, উচ্চতর গণিতের পরীক্ষা আগামী ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় আছে নতুন করে প্রশ্ন প্রণয়ন করে পরীক্ষা নেওয়ার।
এমআই