tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
সারাদেশ প্রকাশনার সময়: ০৪ জানুয়ারী ২০২৪, ০৯:২৭ এএম

কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি


sfs-20240104083822

তাপমাত্রা কমতে থাকায় কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ কুয়াশা কুড়িগ্রামে কিছুটা কমেছে।


বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৪২ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।

ঠান্ডার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি, ছিন্নমূল ও অতি দরিদ্র মানুষজন। এ ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের মানুষগুলো।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়নের গোলজার হোসেন বলেন, আমি হোটেলে কাজ করি, সকালে পানির কাজ করতে হয়। ঠান্ডার কারণে হাত পা বরফ হয়ে যায়। কয়েকদিন থেকে ঠান্ডা বেশি হইছি। আজ কুয়াশা একটু কম, কিন্তু ঠান্ডার মাত্রা কমে নাই।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সরর্দার জানান, বর্তামানে হাসপাতালে ৩৬৫ জন রুগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৭১ জন। তবে শীতজনিত রুগীর সংখ্যা এখনো বাড়েনি। স্বাভাবিক রয়েছে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই জানুয়ারি মাসে ১-২টি শৈত্য প্রবাহের সম্ভবনা রয়েছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, এই শীত ও কুয়াশায় শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার শাক সবজির ক্ষতি হওয়ার মতো আশঙ্কা নেই। যদি তীব্র শৈত্য প্রবাহ কয়েকদিন স্থানীয় ফসলের ক্ষতি হতে পারে। সেই সময় কি করতে হবে এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া আছে।

এনএইচ