বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণে নিন্দা ও প্রতিবাদ জামায়াতের
Share on:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ভারতের সংবিধানে স্বাধীনভাবে ধর্ম-চর্চার কথা উল্লেখ থাকলেও মোদি সরকার তা কখনোই মানেনি। সকল প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে ভারতের মোদি সরকার বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে সেই জায়গায় রাম মন্দির নির্মাণ করেছে। ভারতসহ বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে মোদি সরকারের এই রাম মন্দির নির্মাণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে ধর্মীয় অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় অবস্থিত পনর শতকের ঐতিহাসিক স্থাপনা বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির স্থাপন করা হয়েছে। ১৯৯১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথমে বাবরি মসজিদ পূর্বপরিকল্পিতভাবে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ১০ বছর পর ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-কে অযোধ্যার বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের জমিতে খনন কাজ চালানোর নির্দেশ দেয়।
ভারপ্রাপ্ত আমীর বলেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্দেশ অনুযায়ী খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল। ২০০৩ সালের আগস্টে ৫৭৪ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট কোর্টে জমা দেয় এএসআই। রিপোর্টে সংস্থাটি দাবি করে বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের নিচে মাটি খুঁড়ে তারা একটি বিশালাকার কাঠামো খুঁজে পেয়েছে। তবে এ কাঠামো যে রাম মন্দিরের, এর স্বপক্ষে তারা তাদের রিপোর্টে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। তারপরেও কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির উদ্বোধন করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি