tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ০৯ নভেম্বর ২০২২, ১৭:০৮ পিএম

সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রে ইনসাফ কায়েম করা হবে : দেলাওয়ার হোসেন


জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মো: দেলাওয়ার হোসেন বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে আজ অসৎ ও দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের কারণে অশান্তির দাবানল দাউদাউ করে জ্বলছে। এর ফলে দেশের সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে, জুলুম ও শোষণে মজলুম মানবতা আর্তচিৎকার করে ফিরছে। এই অসৎ ও দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বের মূলোৎপাটন ঘটিয়ে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে ও রাষ্ট্রে ইনসাফ কায়েম করতে হবে।


ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২ নম্বর আখানগর ইউনিয়ন শাখা জামায়াতের আয়োজনে কর্মী সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক এ কেন্দ্রীয় সভাপতি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, মুসলিম প্রধান এই দেশের সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত নেই। সুতরাং আল্লাহর পাঠানো জীবনব্যবস্থাকে সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সকল সেক্টরে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ বুঝে গেছে, বর্তমান সরকারের কাছে ইসলাম নিরাপদ নয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই সরকার এ দেশের প্রধান ইসলামি দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর রাষ্ট্রীয় শক্তি দিয়ে জুলুম চালিয়ে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আমাদের শীর্ষ নেতাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ফাঁসির রায় দিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। কোরআনের পাখি আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী হুজুরকে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যখন এ দেশের ইসলামপ্রিয় মানুষ আন্দোলনে রাজপথে নেমেছিল, ওই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনেও প্রকাশ্যে জনগণের ওপর গুলি চালিয়ে সারাদেশে হত্যা করেছে বহু ইসলামপ্রিয়

মানুষকে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতের আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে অসংখ্য নবীপ্রেমিক মানুষকে। এখনো দেশের জনপ্রিয় অনেক আলেমকে বছরের পর বছর কারাগারে বন্দি রেখে ইসলামের প্রতি তাদের জিঘাংসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। এমতাবস্থায় এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া বাংলাদেশে ইসলাম ও ইসলামি আন্দোলন বা মূল্যবোধ কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। আগামীতে এ দেশের মাটিতে নিরাপরাধ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে হত্যা, ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের কর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যা ও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে লগি-বৈঠা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার হবেই ইনশাআল্লাহ।

কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঠাকুরগাঁও জেলার সেক্রেটারি ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলমগীর, ঠাকুরগাঁও শহর আমির অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন আহম্মদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঠাকুরগাঁও শহর সভাপতি এস এম

আদিউল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও সদর পশ্চিম উপজেলা আমির মাওলানা খলিলুর রহমান। আর সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি আব্দুর রশিদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এমআই