ইরানের ইসপাহান কেন টার্গেট ইসরাইলের?
Share on:
ইরানের ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দিয়েছে ইসরাইল। আজ একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।
শুক্রবার সকালে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইসপাহানের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে ইরানের গণমাধ্যমে এসেছে।
একজন পারমাণবিক এবং রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর ইসপাহানকে বেছে নেওয়া "অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ"।
যুক্তরাজ্য এবং ন্যাটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন বলেন, শহরটির আশেপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু।
ইসরাইলের হামলা যথেষ্ট নিকটে ছিল, যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, বলে আমরা ধারণা করি সেই স্থানটির। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি।
ইসপাহান প্রদেশে একটি বিশাল বিমানঘাঁটি আছে। সেইসঙ্গে, সেখানে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র ও কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনাও রয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা- আইএইই বলেছে, পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কোনো ক্ষতি হয় নি।
পেন্টাগন ও ইসরাইলের সেনাবাহিনী, উভয়ই এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ডি ব্রেটন হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, "মূলত সামর্থ্যের এবং সেইসঙ্গে সম্ভবত লক্ষ্য সম্পর্কেও জানান দেওয়ার চেষ্টা।
ইরান ইসরাইলের দিকে তিনশর বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে, প্রায় সবগুলোকেই ভূপাতিত করা হয়। ইসরাইল ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ছুঁড়েছে মাত্র একটি বা দু'টি - যা প্রতিরক্ষা ভেদ করে আঘাত হেনেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইসরাইল ইরানের চেয়ে এগিয়ে আছে। সেই জন্যই তেহরান প্রক্সি ওয়্যারে (ছায়াযুদ্ধ) বেশি আগ্রহী এবং "ইসরায়েলের সাথে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলে। কারণ, তারা জানে নিদারুণ পরাজয় হবে তাদের।
ইরানিদের পক্ষ থেকে হামলার গুরুত্বকে খাটো করে দেখা প্রসঙ্গে ডি ব্রেটন গর্ডন বলেন, তারা স্বীকার করতে চাইবে না যে কোনো ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের পুরনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে এবং লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।
এই হামলা পাল্টা হামলার বিষয়ে লেবাননে যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত টম ফ্লেচার বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে প্রোগ্রামে বলেছেন, পুরো বিষয়টি এখনও বেশ ঝাপসা এবং ওই অঞ্চলের অনেকেই সত্যিকারের ভয় থেকে জেগে উঠছে।
এনএইচ