tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৪ পিএম

অপপ্রচার রোধে ভারতের সহায়তা নেয়া হবে : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী


0a92134b6ab098e6ef7c2ef7637c6fa0-66211481292ad

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।


তিনি বলেছেন, অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করবো। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা সহায়তা নেবো।

বৃহস্পতিবার (১৮এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াবো। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে, এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এখানে আমরা চেষ্টা করবো ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা। সম্প্রতি ‘মুজিব’ শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না।

বাংলাদেশের সিনেমা ভারতে চালানো যায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।

ভারতের নির্বাচন ইস্যুতে কোন আলাপ হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন আলোচনা হয়নি। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এ দেশে এত দীর্ঘ সময় ধরে কেন করা হয়, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হয়, এসব নিয়ে বেসিক কিছু আলোচনা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। এসব দেশের উন্নয়নের জন্য জরুরি।

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমের সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুইদেশের চলচ্চিত্র ও ইনিস্টিটিউটের তথ্য আদান প্রদান ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এসএম