ভারতের সিনেমা পুরুষকেন্দ্রীক : কিয়ারা
Share on:
আজ ৮ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা কিয়ারা আদভানি জানিয়েছন ভারতে সিনেমা আজও পুরুষকেন্দ্রিক।
কিয়ারা বলেন, দেখুন ইন্ডাস্ট্রির এত বছর হয়ে গেলো। আজ অব্দি কোনো হিরোইন সর্বাধিক পারিশ্রমিকে কাজ করেছে? আমরা শুধু বলার জন্য বলি। আর ফেমিনিস্টদের উল্টো কটাক্ষ করি।
হালের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা কিয়ারা আদভানি নারী দিবসে নিজের ক্ষোভ এভাবেই ব্যক্ত করেন।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সেই অর্থে হাতে গোনা কজন নারী নির্মাতা ছাড়া আর কোনো নির্মাতা নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে কিয়ারা বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতেই তো নারী নির্মাতাকে সম্মান দিই না। কোনো নারী নির্মাতা এলে অনেক বড় বড় সুপারস্টার শিডিউল দিতে আস্থা পায়না। আমার নিজের একটা ছবির ক্ষেত্রে এমন হয়েছে।
আগামীতে নির্মাণে বা প্রযোজনায় আসবেন কিনা এ প্রসঙ্গে কিয়ারা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিজের মান সম্মান নিয়ে থাকতে চাই। তবে পরিবেশ যদি পরিবর্তন হয় তবে অবশ্যই কাজ করতে চাই ছবির প্রযোজনায়।
কিয়ারার মতে সঞ্জয় স্যারের মুভিতে প্রত্যেক নায়িকা আলাদা মর্যাদা পায়। সেটা তার স্ক্রীনপ্লেতেই ফুটে ওঠে। তিনি আরও বলেন, আলিয়ার ছবিটি দেখে তো আমি মুগ্ধ!
প্রসঙ্গত, কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১১ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
১৯৯২ সালের ৩১ জুলাই জন্মগ্রহন করেন কিয়ারা আদভানি একজন ভারতীয় মারাঠী অভিনেত্রী যিনি প্রধানত হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
পিতা জগদ্বীপ আদভানির এবং মাতা জেনেভিভে জাফরী। তার পিতা একজন ব্যবসায়ী। তার একজন ছোট ভাই রয়েছে, যার নাম মিশাল (জ. সেপ্টেম্বর ১৯৯৫)।
কিয়ারার পিতা একজন সিন্ধী হিন্দু পুরুষ এবং তার মা একজন ক্যাথলিক ধর্মালম্বী স্কটিশ, আইরিশ, পর্তুগিজ ও স্পেনীয় বংশোদ্ভূত মহিলা।
২০১৪ সালে আদভানি পরিচালক কবির সাদনান্দ-এর নাট্যধর্মী ফাগলি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নবীন মহিত মারওয়াহ, বিজেন্দ্র সিং, আরফি লাম্বা এবং জিমি শেরগিল-দের বিপরীতে অভিনয় জীবন শুরু করেন।
অভিনয় শুরু করার পর তিনি ২টি অত্যন্ত সফল চলচ্চিত্রে তারকা চরিত্রে কাজ করেন, যার একটি ক্রীড়া চলচ্চিত্র এম.এস. ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি (২০১৬) এবং একটি পুরুষের বেপরোয়া প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত কবির সিং (২০১৯)।
এইচএন