শাবিপ্রবির শিক্ষককে ফেনসিডিল সাপ্লাই, গার্ড আটক
Share on:
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফেনসিডিলসহ জাহিদুর রহমান নামে এক যুবককে আটক করেছে।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফেনসিডিলসহ জাহিদুর রহমান নামে এক যুবককে আটক করেছে।
গতকাল সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ফেনসিডিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটকের পর জাহিদ নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের পাশের গেস্ট হাউসের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে পরিচয় দেন।
আটক জাহিদ জানান, ওখানকার এক শিক্ষক (ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার) আমাকে এক লোককে দেখিয়ে পাঠান, উনার কাছ থেকে ওই স্যারের জন্য একটি ওষুধ নিয়ে আসতে।
ওই শিক্ষকের কথামতো আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছ থেকে অপর লোকের দেওয়া ওষুধ নিয়ে আসি। এটি ফেনসিডিল কিনা তা আমি জানতাম না। আমি এর বাইরে আর কিছু জানি না।
তখন শিক্ষার্থীদের জাহিদ জানান, গেস্ট হাউসে নিয়ে গেলে সে ওই শিক্ষককে দেখিয়ে দিবে। কথামতো গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা নিয়ে গেলে ওই শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।
তখন ‘ম’ দিয়ে নাম বললে শিক্ষার্থীরা কয়েকজন শিক্ষকের নাম বলেন। এরমধ্যে থেকে ‘মাজহারুল’ নামটি সে চিহ্নিত করে। পরে ছবি দেখে জাহিদ অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারকে শনাক্ত করেন।
পরে পুলিশ জব্দ তালিকা করে জাহিদুর রহমান ও তার সহযোগী আরেক গার্ডকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
জাহিদের বক্তব্যের সত্যতা জানতে শাবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি বরং ফোন নাম্বারটি বন্ধ করে দেন।
উপচার্যের বাসভবনে কর্তব্যরত সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মহানগর উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, শিক্ষার্থীরা বাসভবনে পুলিশ ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। বাইরের কেউ ঢোকার সময় তারা চেক করে ভেতরে যেতে দেন।
এগারোটার সময় অতিথি ভবনের গার্ড ভেতরে যেতে চাইলে তাকে চেক করে একটি ফেনসিডিলের বোতল পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত সে একজনের নাম বললেও তা আমরা তদন্তের মাধ্যমে জানাবো।
এইচএন