tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
প্রকাশনার সময়: ০৫ মার্চ ২০২২, ১৭:৪২ পিএম

ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে সাঁড়াশি অভিযান


ভোজ্যতেল

একচেটিয়া ব্যবসা করে অতি মুনাফার অর্জন করতে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বাজার থেকে তেল সরিয়ে ফেলে সংকট সৃষ্টি করছে। ভোজ্যতেলের এই কৃত্রিম সংকট নিরসন সাঁড়াশি অভিযানে নামছে সরকারের ১৪ সংস্থা।


রোববার (৬ মার্চ) থেকে টিমের সদস্যরা অভিযান কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানা গেছে। সংস্থাগুলো তেলের সরবরাহ, মজুত, পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে সংকটের কারণ খতিয়ে দেখবে।একই সঙ্গে কোম্পানিগুলো থেকে তেলের সরবরাহ কমার কারণ পর্যালোচনা করা হবে।

পাশাপাশি আমদানি কত হয়েছে তা জানতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অভিযানকালে অনিয়ম পেলে জরিমানা, প্রতিষ্ঠান সিলগালাসহ অসাধুদের জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সারা দেশে সয়াবিন তেলের চাহিদা, আমদানি, সরবরাহ ও মজুদের তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করছে। এটি তৈরি করতে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বিভিন্ন কোম্পানিগুলো থেকে তথ্য নিয়েছে। এতে কোন জেলায় কি পরিমাণে তেল সরবরাহ করা হয়েছে সে তথ্যও রয়েছে। এসব তথ্য জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।এর আলোকে সরকারি সংস্থাগুলো অভিযানে নামবে।

এর মধ্যে-বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চারটি বিশেষ টিম গঠন করেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গঠন করেছে আরও ৬টি বিশেষ টিম।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদারকি টিমসহ মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও আনসার বাহিনী মাঠে নামবে। এর বাইরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদারকি টিম, বিএসটিআই, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তদারকি টিম, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতায় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ মোট ১৪ সংস্থা মাঠে থাকবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রোববার থেকে কঠোরভাবে অভিযান শুরু হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিশেষ ৬টি টিমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চারটি বিশেষ তদারকি টিম কাজ করবে।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র ও শিল্প মন্ত্রনালয়ের তদারকি টিম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তদারকি টিম, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতায় সিটি করপোরেশনের টিম অভিযান পরিচালনা করবে। তাদের সঙ্গে পুলিশ, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও আনসার বাহিনী কাজ করবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মাঠে থাকবে। এর বাইরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করবেন বলে তিনি জানান।

এদিকে, রাজধানীর মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বলেন, বড় বড় কোম্পানিগুলোর অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা কোনো তেল মজুত করিনি। কোম্পানিগুলোই তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। তারাই বাজার অস্থির করে ফেলেছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারের তেলের দাম বাড়তি। সব মিলে বাজারে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরবরাহ সংকটের কারণে গত বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম গড়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। দুপুরের দিকে প্রতি লিটার ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় পাওয়া যায়। ওইদিন সন্ধ্যায় ১৯০ থেকে ২০৫ টাকা বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়। ওইদিন প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন কিনতে ক্রেতাকে ১৮০-২০০ টাকা পর্যন্ত ব্যায় করতে হয়েছে। পাশাপাশি খোলা সয়াবিন তেল নেই।

এমআই