অনাস্থা ভোটে জিতলেন বরিস জনসন
Share on:
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে অনাস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। বেশ কয়েকটি কারণে জনসন চাপের মুখে ছিলেন, যার মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে কোভিড লকডাউনের সময় ডাউনিং স্ট্রীটে বিধিনিষেধ ভেঙ্গে পার্টি করতে দেওয়া।
বরিস জনসনের পক্ষে ভোট পড়ে ২১১টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৮টি। কনজারভেটিভ দলের ভেতরে ১৯২২ কমিটির সভাপতি স্যার গ্রাহাম ব্রেডি এই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
সোমবার ( ৬ জুন) রাতে কনজারভেটিভ দলের এমপিদের এক গোপন ব্যালটে জনসনের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। এই ফলাফলের সুবাদে আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে কোনো ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না।
শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাউই ও জনসনের সমর্থক বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আমি আশা করি আমরা বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য করবো।
বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক ক্রিস মেসন জানিয়েছেন, জনসনের জন্য ভোটের গাণিতিক হিসেবটি খুবই কাজে লেগেছে। কিন্তু যারা জনসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন সেই ১৪৮ জন কনজারভেটিভ এমপি মনে করছেন তার সরে যাওয়াই উচিত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে যতজন এমপি তার বিরুদ্ধে ছিলেন, জনসনের বিরোধীরা সংখ্যায় তার চেয়েও বেশি। সেই ভোটের ছয় মাস পর টেরিজা মে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
জনসনের সমর্থকরা অবশ্য বলছেন, এখন দলের পরিস্থিতি ভিন্ন। কিন্তু এই ভোটের অর্থ হলো জনসনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা সহজেই দূর হবে না।
ক্রিস মেসন লিখছেন, পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কতখানি কমেছে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল গত শুক্রবার যখন লন্ডনে সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালের বাইরে সমবেত জনতা তার প্রতি দুয়ো দুয়ো বলে আওয়াজ তোলে। তিনি লিখছেন, চরম সত্যটা হলো এই কেলেঙ্কারিকে ঘিরে বহু লোক খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
কনজারভেটিভ এমপিদের অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর আচরণকে কোনোভাবে সমর্থন করা যায় না। অনেকে সরাসরি ভাবেই বলেছেন, হয় জনসনকে সরিয়ে দিতে হবে, নয়তো আগামী নির্বাচনে জনগণই তাদের সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে।
এইচএন