ইফতার বাজারে তিল ধারণের ঠাঁই নেই
Share on:
ইফতার আয়োজন ঘিরে উৎসবের কমতি নেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এক সঙ্গে ইফতার করার আনন্দে মাততে মানুষজন ভিড় করছেন রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এবং ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজারে।
প্রথম দশক পেরিয়ে দ্বিতীয় দশকে পড়েছে রহমত-বরকত-মাগফেরাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতার বাজারে। মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা ছিল না সেখানে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জুমার নামাজের পর থেকেই চকবাজার শাহী জামে মসজিদের সামনের অস্থায়ী ইফতার বাজারে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়। বিকেল গড়াতেই রীতিমতো মানুষের ভিড় বেড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
প্রায় ৫০-৬০ বছরের পুরনো এই ইফতার বাজার নানা মুখরোচক ও নবাবী ঘরানার খাবারের জন্য বিখ্যাত। ইফতারের স্বাভাবিক আইটেমের পাশাপাশি রয়েছে এলাকাভিত্তিক মুখরোচক খাবারের পসরা। ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ‘শাহী জিলাপি’, ‘দইবড়া’, ‘ফিরিনি’, ‘শরবত’ ছাড়াও নানা কাবাব আইটেমের বিরাট সমাহার রয়ছে এ ইফতার বাজারে।
ছোলা-বুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ঘুগনি, নিমকি, জিলাপি, শাহী জিলাপি, রেশমি জিলাপি জালি কাবাব, সুতি কাবাব, টিক্কা কাবাব, মোরগ পোলাও, পরোটা, কাটলেট, ডিম চপ, কাচ্চি বিরিয়ানি, তেহারি, গরু-খাসির হালিম, দইবড়া, পনির, কিমা পরোটা, খাসির লেগ রোস্ট, মুরগি, হাঁস, কবুতর, কোয়েল পাখির ফ্রাই ও সুতি কাবাবসহ নানান আইটেম রয়েছে এই বাজারে। আরও আছে লাবাং, লেবুর শরবত, তোকমার শরবত, লাচ্ছি, নূরানি লাচ্ছি, ছানামাঠা, মাঠা, পেস্তা বাদামের শরবত, রসমালাই, দধি, ছানার মিষ্টি, ফালুদা, ফিরনিসহ বিভিন্ন খাবার।
এসব খাবারের দাম নিয়ে রয়েছে ভিন্নতা। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার-পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের ইফতার আইটেম রয়েছে চকবাজারে। এর মধ্যে সূতি কাবাব, শামী কাবাব, আস্ত মুরগি, হাঁসের রোস্ট, খাসির লেগ রোস্ট সর্বনিম্ন ৮৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তানভীর আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে কেরানীগঞ্জ থেকে এসেছি। চকবাজারের ইফতারের অনেক নাম শুনেছি। সেজন্য টেস্ট করার জন্য এসেছি। সব ঘুরে দেখছি। এখনো কিছু কেনা হয়নি। শেষ সময় কিনব।
এসএম