জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩২ জনের জামিন
Share on:
বান্দরবান থেকে আটক হওয়া জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ১৭ সদস্যসহ ২০ জন। ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের আটক করা হয়।
জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে আটক হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৩২ জন সদস্যকে জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোসলেহ উদ্দিন তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া ও জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগে গত বছর এই ৩২ জনকে বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব।
এদের বিরুদ্ধে কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানায় প্রশিক্ষণ নেওয়া ও বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি তৎপরতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। কেএনএফের সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সে সময় র্যাব অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রশিক্ষক ও অর্থ শাখার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও ছিলেন বলে সে সময় র্যাব গণমাধ্যমকে জানায়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আলমগীর চৌধুরী জানান, বিনা অপরাধে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় আদালত জামিন দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) অপতৎপরতা শুরু করে। তাদের আস্তানায় অর্থের বিনিময়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের বিরুদ্ধে।
২০২৩ সালের ৯ আগস্ট জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সরকারের কাছে এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামক জঙ্গি সংগঠনটির ঘোষিত কার্যক্রম দেশের শান্তিশৃঙ্খলা পরিপন্থি। এরই মধ্যে সংগঠনটির কার্যক্রম জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হওয়ায় বাংলাদেশে এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
এমএইচ