ফের জামিন পেলেন ইমরান খান
Share on:
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির একদিন পরই জামিন পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রোববার (০২ অক্টোবর) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ৭ অক্টোবর ইমরান খানকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২০ আগস্ট ইসলামাবাদের এক জনসভায় অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ জেবা চৌধুরী ও পুলিশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় মামলা হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন দেওয়ানি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক রানা মুজাহিদ রহিম।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জানার পর থেকেই ইমরান খানের সমর্থকেরা তার বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে।
এদিকে পরোয়ানার কপি হাতে পেয়ে ইসলামাবাদ পুলিশ টুইটারে জানায়, এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ আইনে আনা অভিযোগটি বাতিল করায় মামলাটি স্বাভাবিকভাবেই সেখান থেকে দায়রা আদালতে স্থানান্তর হয়। কিন্তু ইমরান খান সেখান থেকে জামিন নেননি। তাই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইমরান খান নিয়াজি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক। খেলোয়াড় জীবন শেষে তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয় করে।
১৯৯২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৯৬ সালে রাজনীতির ময়দানে আসেন ইমরান খান। দুর্নীতি বিরোধী স্লোগানে ১৯৯৬ সালের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। পরের বছর ১৯৯৭ সালে তিনি নির্বাচনে দুটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়ালেও দুটিতেই হেরে যান। তবুও থেমে যান নি তিনি। ২০০২ সালে নির্বাচনে জয়ী হন ইমরান খান।
২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট হয়ে মোশারফ তৎকালীন সেনা প্রধানের পদে থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন। ইমরান খান ওই নির্বাচনের বিরোধিতা করে ওই বছরের ২ অক্টোবর ৮৫ জন পার্লামেন্ট সদস্যদের সাথে পদত্যাগ করেন। সে বারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হয়ে মোশারফ পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি করে। ইমরান খানকে গৃহবন্দী করা হয়। ওইসময় তিনি কিছুদিন হাজতবাসও করার পর মুক্তি পান।
২০১৩ সালে পাকিস্তানের ১০তম নির্বাচনে তার দল দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আসন জেতে। আর ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই পাকিস্তানের ১১ তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তার দল আসন সংখ্যার বিচারে সর্ববৃহৎ দলে পরিণত হয়। তিনি ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
এন