tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
প্রকাশনার সময়: ১৯ অগাস্ট ২০২৪, ১৮:৪৬ পিএম

ইসলামী ব্যাংকের ৮ শীর্ষ কর্মকর্তা বরখাস্ত


856848_121

বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইসলামী ব্যাংকের আট শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।


এর মধ্যে একজন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও পাঁচজন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)। বাকি দু’জন ব্যাংকের দুটি বিভাগের প্রধান।

সোমবার (১৯ আগস্ট) ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের সবাই এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুল আলমের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবীবুল্লাহ (এএমডি), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো: আকিজ উদ্দিন, মোহাম্মদ সাব্বির, মিফতাহ উদ্দিন, মো: রেজাউল করিম ও ড. মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া প্রধান অর্থপাচার প্রতিরোধ কর্মকর্তা তাহের আহমেদ চৌধুরী ও আইবিটিআরএ প্রিন্সিপাল মো: নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কর্মকর্তাদের চাপের মুখে তাদের বরখাস্ত করা হয়।

সরকার পতনের পর থেকে ব্যাংকটিকে ‘এস আলম ও পটিয়া মুক্ত’ করার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি ঋণ বিতরণে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করছেন।

এ ছাড়া গত সাত বছরে সাইফুল আলমের নিজের এলাকা চট্টগ্রামের পটিয়ার প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকার পতনের পর ব্যাংকটিতে যেতে পারছেন না এস আলমপন্থী কর্মকর্তারা। তবে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার অফিসে যান ব্যাংকটির এমডি মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। এরপরই তাদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।

২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইসলামী ব্যাংককে ‘জামায়াতমুক্ত’ করার উদ্যোগ হিসেবে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নেয় সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।

এরপর সাড়ে সাত বছরে নামে-বেনামে ব্যাংকটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এস আলম এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজশাহীর নাবিল গ্রুপ। এই অর্থ ব্যাংকটির মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশ। এই টাকা বের করতে কোনো নিয়মকানুন মানা হয়নি। ঋণের যে তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, ব্যাংক থেকে পাচার করা অর্থের প্রকৃত পরিমাণ তার চেয়ে বেশি বলেই মনে করেন কর্মকর্তারা।

এসএম