হজের অতীত ও বর্তমান দৃশ্যে যে পার্থক্য
Share on:
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ফরজ হজ পালন করে আসছেন পুরো বিশ্বের মুসলমানেরা। তবে সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছর হাজিদের সেবার মানে উন্নয়ন ঘটছে। আগের তুলনায় কষ্ট কমছে।
সৌদি সরকার হজযাত্রীদের সেবা এবং তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের আরাম ও সুবিধা প্রদান করাকে নিজেদের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব মনে করছে।
গত কয়েক দশক ধরে হজ সেবায় দ্রুত পরিবর্তন ও উন্নতি হয়েছে। সৌদি আরব হজযাত্রীদের সেবায় যে গুণগত ও উন্নয়নমূলক পরিবর্তন এনেছে তার কারণে হজ অতীতের তুলনায় অনেক বেশি সংগঠিত, সমন্বিত, শান্ত ও আরামদায়ক হয়েছে।
পুরানো দিনের হজের আমল-ইবাদতের দৃশ্যের দিকে নজর দিলে বুঝা যায় যে হজযাত্রীরা দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে বা তৎকালীন যুগের কাফেলা নিয়ে পথ চলার বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতেন। অনেকে বিভিন্ন পশুর পিঠে চড়ে হজের সফরে বের হতেন।
বর্তমানে হাজিরা বাসে চড়ে সহজেই মিনায় যেতে পারেন। কিন্তু পূর্ববর্তী যুগে মিনাতে যেতেও কষ্ট করতে হতো হাজিদের।
অতীতের হজযাত্রায় জীবনে ঝুঁকি নিয়ে বের হতেন হজযাত্রীরা। তাদের দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে সফর করতে হতো। কখনো প্রখর রোদ আবার কখনো প্রবল বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে যেতে হতো।
বর্তমান সময়ে হজযাত্রীরা সহজেই মিনায় পৌঁছাতে পারেন। ৮ জিলহজ সকালে তারা মিনায় পৌঁছান। এখানে পুরো দিন কাটান তারা।
এ সময় তারা তাহলীল ও তালবিয়া পাঠ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুসরণের চেষ্টা করেন।
এরপর ৯ জিলহজ তারা আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন। সেখান থেকে মুদালিফায় গিয়ে রাত অতিবাহিত করেন। এরপর ১০ জিলহজ আবার মিনায় যান, যেখানে জামারায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করেন।
এরপর ধারাবাহিকভাবে পশু কোরবানি করে, চুল কাটেন। এরপর তাওয়াফে জিয়ারত বা হজের ফরজ তাওয়াফ করে সাফা-মারওয়া সায়ী করেন হাজিরা।
সূত্র : আল আরাবিয়া
এনএইচ