জঙ্গিবাদের তকমা দিয়ে কণ্ঠরোধের দিন শেষ: নুর
Share on:
জঙ্গিবাদের তকমা দিয়ে বিরোধী মতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধের দিন শেষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘তোমরা (সরকার) জঙ্গিবাদের তকমা দিয়ে কণ্ঠরোধ করে দিবা, আন্দোলন বন্ধ করে দিবা- এ সমস্ত ভন্ডামির দিন শেষ। ফ্যাসিবাদের দিন শেষ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ।’
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ফকিরাপুল কালভার্ট রোডে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, সরকার যেভাবে বিরোধীদলকে দমন নিপীড়নে অত্যাচার নির্যাতন করছে, তারপরও বিরোধীদল দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে রাজপথে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমাদের সহকর্মীকে সেদিন যখন আমার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় পুলিশ বলছিল সে জঙ্গি, তখন আমি বলেছিলাম সে যদি জঙ্গি হয় আমি তাহলে জঙ্গিদের নেতা, আমাকেও গ্রেপ্তার করুন। অধিকার পরিষদ এ দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে হামলা মামলার শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে অত্যন্ত সম্মানিত এবং শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। কিছুদিন আগে খুলনার একটি ছেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসে সাঈদী সাহেবকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে বাসায় গিয়ে তার মাকে পুলিশ তুলে এনেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা নামে একটি মেয়ে টকশোতে সমালোচনা করার কারণে গ্রেপ্তার করে জেলে দেওয়া হয়েছে।
নুর বলেন, আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের সহকর্মী ইসমাইলকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে দুইটি মামলায় তাকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে এমনকি বারবার তার জামিন চাওয়ার পরও জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের বিন ইয়ামিনকে ছাত্র ঐক্য নিয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কারণে জেলে দেওয়া হয়েছে। এভাবে সারা দেশেই বিরোধী নেতাকর্মীদের নতুন করে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছয়জন ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রশাসনে গুটিকয়েক দুর্বৃত্ত রয়েছে, যারা জনগণের সেবা করার জন্য চাকরিতে ঢুকেনি, ঢুকেছে শুধুমাত্র আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সেবা করার জন্য। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে বাকশাল কায়েম করার জন্য। এই দুর্বৃত্তরাই নারী কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে গিয়ে নিজেরাই নারী কেলেঙ্কারিতে জড়ায়।
নুর আরও বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে, তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি আমাদেরও টেলিভিশনগুলোতে টকশো করতে যেতে দিচ্ছে না। আমার জেনেছি তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিরোধী নেতাকর্মীদের একটি লিস্ট টেলিভিশনগুলোতে পাঠানো হয়েছে, এই মানুষগুলো টকশোতে কথা বলতে পারবে না। টেলিভিশনগুলোও সে ফর্মুলায় কাজ করছে। কারণ বেশিরভাগ পত্র-পত্রিকা টেলিভিশনের মালিক তো সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রী। তারা সরকারের পারপাস সার্ভ করছে। তারপরও কিছু কিছু গণমাধ্যম সাহসী ভূমিকা পালন করছে। আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
এমআই