tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ২১:৩৮ পিএম

জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা না করলে সংসদ বর্জন করবে জাপা


880

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে গেজেট প্রকাশ না করা পর্যন্ত সংসদে যাবে না দলটি। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা জাতীয় সংসদে যোগ দেবেন না।


রোববার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বিরোধীদলীয় উপনেতার কার্যালয়ে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পার্টির সংসদীয় দলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাতে পার্টির চেয়ারম‌্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ‌্য জানানো হয়েছে।

জাতীয় পার্টি কারো ক্রীতদাস হবে না

এদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি আর কারো ক্রীতদাস হবে না। কেউ যদি বন্ধুত্বের কথা বলে কাছে আসতে চায়, তখন ভেবে দেখবো।

তিনি আরও বলেন, হাওয়া ভবনের দুর্নীতি থেকে দেশকে বাঁচাতে ২০০৮ সালে আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ কথা রাখেনি। প্রথমে তারা জাতীয় পার্টিকে অঙ্গ সংগঠন মনে করতো, পরে চাকর ভাবা শুরু করে আর এখন মনে করে ক্রীতদাস! আওয়ামী লীগ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। কিন্তু আমরা আর কারও দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে চাই না। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, তাই আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জামালপুরের মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে জিএম কাদের এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, আমি প্রথম যখন বলেছিলাম বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হচ্ছে, সরকার দেউলিয়া হচ্ছে—তখন শুনে অনেকেই হাসাহাসি করেছে। এখন সরকারের উপদেষ্টা বলছে টাকার অভাবে গ্যাস কিনতে পারবে না। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে রক্ত পানি করে টাকা পাঠায়, আর আমরা আলোকসজ্জা করি, মূর্তি বানাই। যেখানেই যাই শুধু দেখি ফূর্তি আর ফূর্তি। দেখে মনে হয় সরকার ১২ মাসে ১০০ পার্বণ পালন করছে। অথচ দেশের মানুষ না খেয়ে জীবনযাপন করছে। ৭০-৮০ ভাগ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।

দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দলের নেতারা একেকজন আঙ্গুল ফুলে গলা গাছ। তাদের সম্পদের হিসাব নাই। টাকা রাখার জায়গা নাই, বিদেশে পাচার করছে। আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, জেলার নেতারা হয়েছেন শতকোটি টাকা মালিক। পূর্ব পাকিস্তান আমাদের সাথে বৈষম্য করেছিলো, আমরা স্বাধীন হলেও বৈষম্য থেকে মুক্তি পাইনি। স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষের শক্তি বলে দেশের মানুষকে বিভাজনে রাখা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সম্মেলন উদ্বোধন করবেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তফা আল মাহমুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান শেঠ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, এটিইউ তাজ রহমান, ফকরুল ইমাম এমপি, আহসান আদেলুর রহমান এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম জহির, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মোখলেছুর রহমান বস্তু প্রমুখ।

জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আলহাজ জাকির হোসেন খান সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

পরে মোস্তফা আল মাহমুদকে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, আলহাজ জাকির হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক ও কাজী খোকনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

এন