tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ২৭ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:৫১ পিএম

২০২৩ সালে সড়কে ঝরেছে ৬৫২৪ প্রাণ


accident-_20240127_140313786

২০২৩ সালে সারাদেশে ৬ হাজার ৯১১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫২৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১ হাজার ৪০৭ জন।


গত বছর দেশে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও আগের বছরের তুলনায় সামান্য কমেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, দেশে গত বছর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬ হাজার ৯১১টি। এতে ৬ হাজার ৫২৪ জন নিহত হয়। আহত হয় ১১ হাজার ৪০৭ জন। মোট নিহতের ১৭ শতাংশের বেশি শিশু। গত বছর দেশে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় বাড়লেও কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও আগের বছরের তুলনায় সামান্য কমেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় সারাদেশে ১ হাজার ১২৮ শিশু নিহত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন তিনজনের বেশি শিশুর প্রাণ গেছে সড়কে। দেশের আঞ্চলিক সড়কগুলোয় গত বছর সবচেয়ে বেশি শিশু মারা গেছে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার সময়, বসতবাড়ির আশপাশের সড়কে খেলাধুলার সময় নিহতের ঘটনা বেশি ঘটেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশের বেশি শিশু মারা গেছে যাত্রী বা পণ্যবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেটকারের ধাক্কায়। এরপর আঞ্চলিক বা গ্রামীণ সড়কের যানবাহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ১৬ শতাংশ শিশুর প্রাণ গেছে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায়। স্থানীয়ভাবে তৈরি নছিমন, ভটভটি বা মাহিন্দ্র কেড়েছে প্রায় ৭ শতাংশ শিশুর প্রাণ।

রোড সেফটির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গ্রামীণ সড়কে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে শিশু মৃত্যু কমেছে। বেড়েছে আঞ্চলিক সড়কে। দুর্ঘটনায় নিহত শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ শতাংশেরই বয়স ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। এরপরই আছে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু। নিহত শিশুদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ এই বয়সী।

এনএইচ