নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে, আমাদের তো বাংলাদেশ আছে: প্রধানমন্ত্রী
Share on:
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ভিসানীতি প্রয়োগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে। আমাদের তো বাংলাদেশ আছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিসানীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে কিছু বলার নেই। জনগণের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় আছি। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর হোক তা আমরাও চাই।
ভিসানীতি প্রয়োগ করা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, তারা কি ২০০১ সালের অবৈধ নির্বাচনের কথা ভুলে গেছে? ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল, হ্যাঁ-না ভোটের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে এই সচেতনতা তখন তাদের কোথায় ছিল?
সরকারপ্রধান বিদেশ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচন বানচালের চেষ্টার বিষয়েও সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা দেশের বাইরে থেকে যেন না হয়। এটি হলে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণই তাদের ‘স্যাংশন’ (যারা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে) দিয়ে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণায় বিরোধীদের কথাও বলা হয়েছে।
২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র পোড়ানো, যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ভিসানীতির কারণে এবার তারা হয়তো এত দূর যেতে পারবে না। ভিসানীতির একটি সুবিধা হলো, এবার তারা (বিএনপি) জ্বালাও-পোড়াও করতে পারবে না। এতে জনগণের জীবন বাঁচবে।
যারা ভিসানীতি প্রয়োগ করছে তাদের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন আছে এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে কী করছে? আমরাও তো এতটা করি না!
শেখ হাসিনা বলেন, একসময় বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে কথাই ছিল, ১০টা হোন্ডা, ২০টা গুন্ডা। বিএনপি এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোটার করেছিল। ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচন বিএনপিই করেছিল। তারা দেড় মাসও টিকতে পারেনি।
‘ভোট ও ভাতের অধিকার আওয়ামী লীগই করেছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব—এটি আমারই স্লোগান,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করেছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করেছে এবং নির্বাচন কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দণ্ডিত আসামি হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন।
কন্যা সায়মা ওয়াজেদের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, কে আসবে না আসবে, বাংলাদেশের জনগণ ও দল ঠিক করবে।
তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ অটিজম নিয়ে কাজ করছে। ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে।
এনএইচ