tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৫৫ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ইউক্রেনকে কেবল ধ্বংসই করছে : রাশিয়া


20221020_083503

চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার যে নীতি যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে, তা দেশটিকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করে রাশিয়া। বুধবার রাশিয়ার বেতার সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া ঝারখোভা।


সাক্ষাৎকারে ঝারখোভা বলেন, ‘বহু বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে এবং প্রচার করছে যে, ইউক্রেনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই এসব অস্ত্র সরবরাহ করছে তারা।’

‘কিন্তু তাদের এই অবস্থান ভয়াবহভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ। কারণ বাস্তবিক অর্থে তাদের এই সহায়তা এই যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করছে এবং যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হবে, ততই দেশটি ধ্বংস হবে….ওয়াশিংটন আসলে এই সংঘাতকে জিইয়ে রাখতে চায়, যা আখেরে ইউক্রেনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে।’

‘যুক্তরাষ্ট্র যে আসলে ইউক্রেনকে একটি যুদ্ধের মহড়াক্ষেত্র ও মার্কিন অস্ত্র প্রদর্শনীর এলাকা হিসেবে বিবেচনা করছে— এটি ইউক্রেনের অনেক লোকজনও ইতোমধ্যে বুঝতে সক্ষম হয়েছে।’

গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইউরোপিয়ান অ্যান্ড ইউরেশিয়ান অ্যাফেয়ার্স বিভাগের উপমন্ত্রী ক্যারেন ডনফ্রিড এক ব্রিফিংয়ে জানান, চলমান রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্রিফিংয়ে ডনফ্রিড বলেন, ‘আমরা চাই, রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসন থেকে ইউক্রেনের জনগণ যেন নিজেদের রক্ষা করতে পারে। এজন্য যতদিন সম্ভব হয়, আমরা ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যাব।’

মঙ্গলবার ডনফ্রিড ওয়াশিংটনের অবস্থান জানানোর পরদিনই মঙ্গলবার এই ইস্যুতে মস্কোর অবস্থান স্পষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানালেন ঝারখোভা।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ইউক্রেন। তার আগ পর্যন্ত এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ছিল।

তবে স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটিতে বসবাসরত সংখ্যালঘু রুশদের সঙ্গে জাতিগত দ্বন্দ্ব শুরু হয় ইউক্রেনীয়দের। এই দ্বন্দ্বে নিজেদের শক্তি বাড়াতে রাশিয়ার চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়া শুরু করে ইউক্রেনীয়রা।

২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ হারানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করে ইউক্রেন। মস্কো এ বিষয়ে আপত্তি জানালেও তাতে কান দেয়নি কিয়েভ।

অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলার পর চলতি বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। গত ৯ মাসের অভিযানে ইতোমধ্যে খেরসন, ঝাপোরিজ্জিয়া, দনেৎস্ক ও লুহানস্ক— ইউক্রেনের এই চারটি প্রদেশ নিজেদের সীমানাভূক্ত করেছে রাশিয়া। শতকরা হিসেবে দেশটির মোট ভূখণ্ডের তুলনায় এই চার প্রদেশের আয়তন ১৫ শতাংশ।

এমআই