tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ২২ জুন ২০২৪, ২০:০৯ পিএম

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে কলেরা সংক্রমণ


115247_Abul-7

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, আফ্রিকা, পূর্ব এশিয়া, আমেরিকা, ইউরোপ এবং ভূমধ্যসাগরীয় পূর্বাঞ্চলে কিছু দেশে নতুন করে কলেরা দেখা দিয়েছে। কলেরা হলো ভয়াবহ ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতা। ব্যাকটেরিয়াম ভাইব্রিও কলেরায় অন্ত্রে সংক্রমণে এই রোগের সৃষ্টি হয়।


এই রোগ উচ্চ মাত্রায় সংক্রামক এবং প্রাথমিকভাবে পানি ও খাদ্যের মাধ্যমে এর বিস্তার ঘটে। আবুজাভিত্তিক অনলাইন প্রিমিয়াম টাইমস এ খবর দিয়েছে। জাতিসংঘের এই এজেন্সির মতে, জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ৫টি অঞ্চলে প্রায় এক লাখ ৯৫ হাজার কলেরা রোগের রিপোর্ট করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে সাতটি দেশে সবচেয়ে বেশি কমপক্ষে ৯৮ হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে আফ্রিকায় ১৪টি দেশে। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭০০। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এসব সংখ্যা নিশ্চিত আক্রান্ত এবং সন্দেহজনক আক্রান্তের সংখ্যা মিলে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দুটি দেশ থেকে ১৪০০ মানুষ আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে। ইউরোপে একটি দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৫ জন মানুষ। বর্তমানে এই রোগের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব জুড়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ১৯০০ মানুষ। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন আফ্রিকায়। সেখানে এ সংখ্যা ১৬৯৮। তারপরেই রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল। সেখানে এই সংখ্যা ২৫৬। যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ১৩ জন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মারা গেছেন চার জন।

ইউরোপে মারা গেছেন মাত্র একজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন কমোরোসে। সেখানে এই সংখ্যা ৫৪। এরপরেই আছে ইথিওপিয়া- ২৮। কঙ্গোতে ১৮, জিম্বাবুয়েতে ১২ এবং তাঞ্জানিয়ায় মারা গেছেন ১০ জন। ওদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বুলেটিনে নাইজেরিয়ার উল্লেখ নেই। তবে প্রিমিয়াম টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে কলেরা দেখা দিয়েছে। নাইজেরিয়া সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, নাইজেরিয়ায় নিশ্চিত কলেরায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ জন। ১লা জানুয়ারি থেকে ১১ই জুন পর্যন্ত ৩০ জন মারা গেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্ব জুড়ে কলেরার নতুন টিকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বৈশ্বিক এ সংস্থা বলেছে, মুখে খাওয়ার কলেরা টিকার মজুত উল্লেখযোগ্যভাবে সীমিত। সরবরাহের তুলনায় টিকার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এমএইচ