tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ১৪ অগাস্ট ২০২৩, ১২:৪২ পিএম

নেপালে ৫ বাংলাদেশি গ্রেফতার


7

নেপালে মানবপাচার ও পণবন্দি করার অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের সহায়তা করার দায়ে নেপালের আরও ২ ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে।


তারা ইউরোপের উন্নত দেশে পাঠানোর নামে ৮ বাংলাদেশি নাগরিককে পণবন্দি করেছিল। জিম্মি হওয়া ঐ বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্ধারের পর গতকাল রোববার (১৩ আগস্ট) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রকাশ্যে আনা হয়।

সোমবার (১৪ আগস্ট) নেপালি সংবাদ মাধ্যম দ্য হিমালয়্যান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জিম্মি করার অভিযোগে নেপালে একদল বাংলাদেশি মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা নেপাল হয়ে তৃতীয় কোনও দেশে মানবপাচারের র‌্যাকেট পরিচালনা করতো।

সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ইউরোপীয় দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে নেপালে পাচার করা ৮ বাংলাদেশিকে জিম্মি করার অভিযোগে ৫ বাংলাদেশি নাগরিকসহ দুই নেপালি সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে কাঠমান্ডু ভ্যালি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন অফিস।

গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশিরা হচ্ছেন- আমির হোসেন (৪৭), মো. মশিউর রহমান (৩৭), সেলিম মিয়া (৩৮), জাহাঙ্গীর আলম (২১) ও তাহমিনা বেগম (২১)।

এছাড়া গ্রেফতারকৃত ২ নেপালি- তারা নেপালি (২৭) এবং রোহানি রায় (৩৩)। তারা নেপালের সিন্ধুপালচক এবং ইলামের বাসিন্দা। নেপালে মানবপাচার চক্রকে সহায়তা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

হিমালয়্যান টাইমস জানায়, ইউরোপের কোনও একটি দেশে পাঠানোর নামে ঐ ৮ জন বাংলাদেশিকে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে নেপালে পাঠানো হয়। এরপর নেপালে তাদের পণবন্দি করে অভিযুক্তরা।

পরে ঐ ৮ বাংলাদেশি পণবন্দির একজন আবু বকর সিদ্দিক পাচারকারীদের খপ্পর থেকে পালাতে সক্ষম হন। এরপর তিনি ভৃকুটিমন্ডপের ট্রাফিক পুলিশ অফিসে পৌঁছান এবং অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়।

সংবাদ মাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের পণবন্দি করে রাখার খবর পেয়ে কালিমাটিদোলের একটি গেস্টহাউস থেকে ৪ জিম্মিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

ভুক্তভোগী ঐ বাংলাদেশিদের আমির হোসেন নামে এক পাচারকারীর ভাড়া করা কক্ষে রাখা হয়েছিল।

তার গ্রেফতারের পর অন্য অপরাধীদের পরিচালিত হরিসিদ্ধিভিত্তিক একটি ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আরও ২ জনকে উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে কেটিসি বিউটি পার্লার অ্যান্ড স্পা নামে পরিচালিত নকশালভিত্তিক ম্যাসাজ সেন্টার থেকে আরও ২ বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্মি এসব বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ আদায় করে পাচারকারীরা। ব্যাংকের মাধ্যমে এসব টাকা বাংলাদেশ থেকে নেপালে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী ঐ বাংলাদেশিরা তাদের স্বপ্নের দেশে যাওয়ার আশায় দিন গুনছিল। কিন্তু পণবন্দি করে পাচারকারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে আরও টাকা দাবি করতে শুরু করলে তাদের সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।

এছাড়া বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, তাদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়।

এন