হঠাৎ হল ছাড়ার নির্দেশ, বিপাকে কুয়েট শিক্ষার্থীরা
Share on:
হঠাৎ হল ছাড়ার নির্দেশনায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার পরপরই দুপুর থেকে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
‘দিনাজপুর পর্যন্ত এখন কীভাবে যাব, সেই চিন্তায় আছি। হঠাৎ হল ছাড়ার সিদ্ধান্তে বিপাকেই পড়েছি। বিশেষ করে আমাদের মেয়েদের সমস্যা একটু বেশি।
তবে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বাইরে তো কিছু করার থাকে না। আর বিষয়টা যেহেতু পলিটিক্যাল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই আর কোনো বিষয়ে কথা বলতে চাই না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী হল ছাড়ার সময় এ সব কথা বলেন।
এদিকে, হঠাৎ হল ছাড়ার নির্দেশনায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করার পরপরই দুপুর থেকে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
বাস বা ট্রেনের টিকিট পাওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ক্যাম্পাস খোলার কিছুদিনের মধ্যে আবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষা জীবন পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিরিয়ারিং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মঈন ঢালী ঢাকার বাসা থেকে গত ২২ অক্টোবর ক্যাম্পাসে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ বন্ধ হওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছি। এখন আর বাড়ি ফিরবো না। আমার বন্ধুর মেসে থাকবো।
কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশকুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হারুনুর রশীদ বলেন, শিক্ষার্থীর জন্য এটা চরম ভোগান্তির। ঠাকুরগাঁও সদরের টিকিট পেলে বাড়ি চলে যাব। আর না পেলে কী করব, তা এখনো ভাবিনি।
যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওসমান গণি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনার জন্য অনেক সময় নষ্ট হয়েছে।
এতো দিন তো পড়ালেখা শেষ হয়ে যেত। ২৫ অক্টোবর ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। আবার ভ্যাকেন্ট। আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। পড়াশোনা শেষ করতে কত দিন লাগবে, জানি না। সব মিলিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
এদিকে দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রলীগের একাংশ আবাসিক হল না ছাড়ার জন্য প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
সেখানে তারা কর্তব্যরত সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। পরে বিকেল চারটার দিকে তারা প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে সরে যায়।
এইচএন