সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সাত দিনের রিমান্ডে
Share on:
শনিবার (২৪ আগস্ট) আ স ম ফিরোজকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।এরপর ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশ।শুনানি শেষে বিচারক তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এ আওয়ামী লীগ নেতা আটবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসন থেকে জয়ী হন তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশেনে এক নম্বর প্যানেল স্পিকার হিসেবে স্পিকারের আসনে বসে সংসদ পরিচালনাও করেছিলেন আ স ম ফিরোজ।
গত ১৯ জুলাই সময় ভাটারা এলাকায় সোহাগ মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা শাফায়াত হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ জুনের পর সরকারী চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা আরোপ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করে সারাদেশের সর্ব স্তরের শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকার সম্বোধন করলে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী শান্তীপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দেয়। উক্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রতিহত করতে সকল আসামি যোগসাজস ও উসকারিমূলক বক্তব্য এবং নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিধনের ঘোষণা দেন।
এরই ফলশ্রুতিতে গত ১৯ জুলাই বিকেল ভাটারা থানার ১০০ ফিট রোডস্থ ফরাজী হাসপাতালের সামনে পাকা রাস্তার উপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারী নির্দেশনায়, পরিকল্পনায় এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে অবৈধ জনতাবন্ধে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নিরাপরাধ শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় অস্ত্র-শস্ত্রে সাজ্জিত হয়ে গুলিবর্ষণ করলে আমার ছেলে সোহাগ মিয়া (১৬) এর বাম কানের মধ্যে লেগে মাথার পিছন দিয়ে গুলিটি বেড়িয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু বরণ করে।