ইউক্রেন ব্রিটিশ অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় আঘাত হানলে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার হুমকি মস্কোর
Share on:
ইউক্রেন ও অন্যান্য জায়গায় অবস্থিত ব্রিটিশ সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলার হুমকি দিয়েছে মস্কো।
যদি কিয়েভের বাহিনী রাশিয়ার বিরুদ্ধে হামলায় ব্রিটেনের সরবরাহ করা দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, তবেই এই পাল্টা হামলা হতে পারে।
সোমবার ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন কিয়েভকে আত্মরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে কিয়েভ সফরের সময় ক্যামেরন জানান, কিয়েভের বাহিনী রাশিয়ার অভ্যন্তরের লক্ষ্যবস্তুতে ব্রিটিশ দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারবে।
গত সপ্তাহে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন বলেন, ঠিক যেভাবে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে, আপনাদেরকে বুঝতে হবে, ইউক্রেনও একইভাবে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়টিতে নিশ্চিত হতে চাইছে।
ক্যামেরন আরও জানান, ব্রিটেনের সরবরাহ করা অস্ত্র কীভাবে ইউক্রেনীয় বাহিনী ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে লন্ডন কোনো শর্ত জুড়ে দেয়নি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা মস্কোতে নিয়োজিত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত নাইজেল কেসিকে ডেকে পাঠিয়েছে এবং সতর্ক করেছে যে যদি ইউক্রেনীয় বাহিনী ব্রিটেনের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালায়, তাহলে মস্কো ইউক্রেন বা অন্যত্র যুক্তরাজ্যের যেকোনো সামরিক স্থাপনা বা উপকরণের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লন্ডন যদি এ ধরনের শত্রুতামূলক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তার অনিবার্য ও বিপর্যয়কর পরিণতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে ভাবতে বলা হয় এবং তাকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রধানের উসকানি ও ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্যকে অবিলম্বে বলিষ্ঠ ও দ্ব্যর্থহীন উপায়ে নাকচ করার উদ্যোগ নিতে বলা হয়।
এর আগে রাশিয়া ঘোষণা দেয়, রুশ সীমান্তের কাছাকাছি নেটো ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করার প্রতিক্রিয়ায় তারা ইউক্রেন সীমান্তের কাছে নতুন পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া পরিচালনা করবে। কারণ হিসেবে ফরাসি নেতা ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ ও যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাসহ পশ্চিমা নেতাদের কাছ থেকে আসা “হুমকির” কথা বলেছে রাশিয়া।
সূত্র: রয়টার্স, এপি ও এএফপি।
এনএইচ