তফসিল ঘোষণা করে দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেবেন না: নুরুল হক
Share on:
রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল ঘোষণা করলে দেশে সংঘাত ও সহিংসতা বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক।
অবরোধের সমর্থনে আজ বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেছেন তিনি।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আজ বুধবার বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর পঞ্চম দফা অবরোধ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আজ সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
এই পরিস্থিতিতে দুপুরে ওই সমাবেশ নুরুল হক বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই, কোনো প্রকার রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া তফসিল ঘোষণা করে দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেবেন না।
নির্বাচন কমিশনকে বলতে চাই, আপনারা অবৈধ তফসিল ঘোষণা করে দেশ ও জাতিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। আপনারা পদত্যাগ করে জনগণের আন্দোলনে শামিল হন, জনগণ আপনাদের মনে রাখবে। আপনারা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
নুরুল হক আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে। সরকার দলগুলোর কথা শুনছে না। উন্নয়ন সহযোগী দেশি-বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্র ও সংস্থার কথায়ও সরকার কর্ণপাত করছে না। তারা দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, গণগ্রেপ্তার করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, সরকার কোনো ধরনের সমঝোতা, সংলাপের উদ্যোগ না নিয়ে তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। যা সংঘাত-সহিংসতা বাড়াবে। অন্তত মহামান্য রাষ্ট্রপতি সব দলকে নিয়ে সংলাপের আয়োজন করতে পারতেন।
কিন্তু সেটিও হলো না। নির্বাচন কমিশন তাড়াহুড়ো করে যে তফসিল ঘোষণা করছে, এই তফসিল গণ অধিকার পরিষদ প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন, দ্রুত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
অবরোধের সমর্থনে বেলা সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টনে অবস্থিত আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করেন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা।
মিছিলটি পল্টন মোড়, কাকরাইল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবদুজ জাহের।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, রবিউল হাসান, জিলু খান, আনিসুর রহমান,
কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন, নারীবিষয়ক সহসম্পাদক মীর দিলরুবা সুলতানা, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম,
দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম,
পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি জাফর মাহমুদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদসহ নেতা–কর্মীরা।