tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অপরাধ প্রকাশনার সময়: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪০ পিএম

রাঙ্গামাটিতে উচ্ছেদ অভিযান, দখলদারদের তোপের মুখে প্রশাসন


6

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে দখলদার উচ্ছেদের দ্বিতীয় দিনেও ব্যাপক বাধার মুখে প্রশাসন।


রাঙামাটি কেন্দ্রীয় ফিশারিঘাট বাস টার্মিনালে দ্বিতীয় দিনের অভিযানে গিয়ে এলাকার দখলদারদের বাধার মুখে পড়েন অভিযানে নিয়োজিত দায়িত্বে থাকা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন।

অভিযানে ৩ টি দোকানঘর গুড়িয়ে দেবার পরেই স্হানীয় দখলদাররা সংঘবদ্ধ হয়ে উচ্ছেদকারী দলের ওপর চড়াও হয়। সে সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জোবায়তুন নাহার।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার মোতায়েনের পর ও এলাকার দখলদাররা বিক্ষোভ শুরু করেন,চেষ্টা করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে বাধ্য হয়ে উচ্ছেদ স্থল ত্যাগ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

তবে সবার সাথে কথা বলে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। পাঁচ একরের এই বাস টার্মিনালের তিন পাশে চারশত’র অধিক অবৈধ স্হাপনা তৈরী করে দখলে নিয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে এসে মৌখিক ভাবে তাদের জানানো হলেও কোন সময় না দিয়ে দুপুর ১২ টার সময় উচ্ছেদ অভিযান চালায় প্রশাসন।

দখলদারদের দাবি, আমাদের সকল কাগজপত্র আছে। এভাবে হুট করে সব কিছু ভেঙ্গে ফেললে আমরা কোথায় যাব। যদি সব কিছু ভেঙ্গে ফেলতে হয় তার আগে আমাদের থাকার জন্য জায়গা করে দিক সরকার।

দীর্ঘদিন জেলা প্রশাসক মহোদয় জমি বন্দোবস্তি বন্ধ করে রেখেছে। আমরা খাস জমিতে বসবাস করছি। আর রাঙামাটির পুরো শহর লেকে পাশ ঘিরে মানুষ বসবাস করে। এভাবে সব ভেঙ্গে দিলে লোকজন কোথায় যাবে। আগে আমাদের ঘরগুলো না ভেঙ্গে বড় বড় দালানকোঠাগুলো আগে ভাঙ্গা হউক।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন বলেন,মহামান্য আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় নেমেছি এবং আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য। বাধা আসলেও আমরা আমাদের কাজ করে যাব।

তিনি বলেন এলাকার দখলদারদের কে বলেছি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে গিয়ে যেন দেখা করেন, গতকাল আসামবস্তি এলাকায় গিয়েছিলাম সেখানেও স্থানীয়রা সময় চেয়েছে তাদের কে সময় দেয়া হয়েছে।

আজও বাস ট্রার্মিনাল এলাকায় অপসরণ করার সময় তারা সময় চেয়েছে তাদের কে সময় দেয়া হয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে, উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর একটি রিটের পরিপেক্ষিতে দেশের একমাত্র কৃত্রিম জলধার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে অবৈধভাবে দখল বন্ধের ব্যবস্হা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহামান্য হাইকোর্ট, একই ভাবে দুই সাপ্তাহের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদে নতুন করে আর যেন মাটি ভরাট বা নতুন কোন স্হাপনা নির্মাণ করা না হয় সে বিষয়ে কার্যকরি ব্যবস্হা নিতে জেলা প্রশাসক( ডিসি) ও পুলিশ সুপার( এস পি) সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অপর এক আদেশে বলা হয়েছে ৩০ দিনের অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রণয়ন করে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গতকালও উচ্ছেদে বাধা প্রদান করছে দখলদাররা। বাধা থাকবেই তার মধ্যেই কাজ করে যেতে হবে। এটি মহামান্য হাইকোটের আদেশ। এটাকে অমান্য করার কোন সুযোগ নেই এমনটাই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

এন