বাংলালিংকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছেন জেমস-মাইলস
Share on:
অনুমতি ছাড়া গান ব্যাবহারের অভিযোগে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি বাংলালিংকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছেন বাউল ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস এবং মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ।
অনুমতি ছাড়া গান ব্যাবহারের অভিযোগে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি বাংলালিংকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে ১০ কোটি টাকা দাবি করেছেন বাউল ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস এবং মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ।
আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার তারিখ ধার্য ছিল। এদিন অন্তবর্তীকালীন জামিনে থাকা বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাস, প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, প্রধান কর্পোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অব ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস অনিক ধর আদালতে হাজির হন। তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন স্থায়ী করার আবেন করেন।
শুনানিতে তাদের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ‘বাদীপক্ষের সাথে মামলা নিয়ে আপসের কথাবার্তা চলছে। তারা ৫ কোটি করে ১০ কোটি টাকা চেয়ে আসামিদের চিঠিও দিয়েছে।
এ নিয়ে উভয়পক্ষ বৈঠকে বসবে। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যে মামলা আপস হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় আসামিদের স্থায়ী জামিনের প্রার্থনা করছি।’
শুনানি শেষে আদালত আসামিদের স্থায়ী জামিনের আদেশ দেন। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, ‘গত ৩০ তারিখ আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
৬ তারিখ পর্যন্ত তাদের জামিন দেন। এদিন তারা আদালতে এসে জামিন স্থায়ীর আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, জেমস এবং মাইলসের পক্ষ থেকে মামলাটি আপসের জন্য ৫ কোটি করে ১০ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে দুইপক্ষ বৈঠকেও বসবেন। তাদের আপসের কথাবার্তা চলছে।’
গত ১০ নভেম্বর বাংলালিংকের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে জেমস ও মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ অভিযোগ করেন, তাদের লেখা ও সুর করা ‘নীলা’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুইটি আসামিরা তাদের বাংলালিংক অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছে।
এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে জেমসও তার গাওয়া ‘দুখিনি দুঃখ করোনা’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুম্মিতা’, ও যার যার ধর্ম গান সম্পর্কেও একই ধরনের অভিযোগ করেন।
মামলার প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সঞ্জয় ভাগাশিয়া বিদেশে চলে গেছেন। তিনি আর দেশে ফিরবেন না বরে বাদীপক্ষ জেনেছে। এজন্য বাদীপক্ষ তাকে মামলা থেকে তাকে বাদ দিয়েছেন বলে জানান তাপস কুমার পাল।
এইচএন