ইতিহাসের এই দিনে : ইবনে খালদুন’র জন্ম
Share on:
আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে একসময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ শনিবার (২৭ মে) ১২ জৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৫ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিজরী।
এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলী :
১৬৭৯ - ব্রিটেন হ্যাভিয়াস কার্পাস আইন প্রবর্তন।
১৭০৩ - পিটার দি গ্রেট কর্তৃক সেন্ট পিটার্সবুর্গ (লেনিনগ্রাদ) শহরের পত্তন হয়।
১৭৬৭ - কলকাতায় প্রথম প্রটেস্টান্ট গির্জা নির্মিত।
১৮৩৭ - আলজেরিয়ার স্বাধীনতাকামী নেতা আবদুল ক্বাদেরের সাথে ফ্রান্স সরকারের একটি শান্তিচূক্তি হয়।
১৮৮৩ - তৃতীয় আলেকজান্ডার রাশিয়ার রাজা হন।
১৯১৯ - জালিয়ান ওয়ালাবাগের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করে বড়লাট লর্ড চেমস ফোর্ডকে চিঠি দেন।
১৯১৯ - এনসি-৪ এয়ারক্রাফট অবতরণ করে লিসবনে, প্রথম উড্ডয়ন শেষ করে।
১৯২৬ - মরোক্কোর রিফ এলাকায় ফরাসী ও স্পেনীয় উপনিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐতিহাসিক গণপ্রতিরোধ বা বিদ্রোহ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
১৯২৭ - বৈমানিক চার্লস লিন্ডবার্গ একাকী বিমান চালিয়ে বিশ্বে প্রথম আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেন।
১৯৩০ - নিউইয়র্কে ১০৪৬ ফুট বিল্ডিংটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়, যেটি সে সময় মানুষের তৈরি দীর্ঘতম ভবন।
১৯৩২ - খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও মানবতাবাদী রমাঁ রল্যাঁ ও অঁরি বারব্যুস যৌথভাবে আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরোধী সমাবেশ আহবানে করেন।
১৯৫২ - ইউরোপীয় প্রতীরক্ষা গোষ্ঠী গঠিত হয়।
১৯৭২ - যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সল্ট-১ চুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৮৯ - বার্মার সামরিক শাসকগোষ্ঠী দেশের নাম পরিবর্তন করে দ্য ইউনিয়ন অব মায়ানমার রাখে এবং রেঙ্গুনের নাম পালটে রাখে ইয়াঙ্গুন।
২০০৬ - ‘জাভা’ ভূমিকম্প ভোর ৫টা ৫৩ মিনিটের সময় তীব্র আঘাত করে ইওগাকার্তায়। প্রায় ৬ হাজার ৬০০ লোকের প্রাণহানি ঘটে।
জন্মদিন :
১৩৩২ - ইবনে খালদুন, আরব মুসলিম পণ্ডিত। আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস ও অর্থনীতির জনকদের মধ্যে তিনি অন্যতম বিবেচিত হন। (মৃ. ১৪০৬)
ইবনে খালদুন (পুরো নাম, আরবি: أبو زيد عبد الرحمن بن محمد بن خلدون الحضرمي, আবু জায়েদ আবদুর রহমান বিন মুহাম্মদ বিন খালদুন আল হাদরামি; মে ২৭, ১৩৩২ খ্রিষ্টাব্দ /৭৩২ হিজরি – মার্চ ১৯, ১৪০৬ খ্রিষ্টাব্দ/৮০৮ হিজরি) ছিলেন একজন আরব মুসলিম পণ্ডিত। আধুনিক সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস ও অর্থনীতির জনকদের মধ্যে তিনি অন্যতম বিবেচিত হন।
ইবনে খালদুন তাঁর বই মুকাদ্দিমার জন্য অধিক পরিচিত। এই বই ১৭ শতকের উসমানীয় ইতিহাসবিদ কাতিপ চেলেবি ও মোস্তফা নাইমাকে প্রভাবিত করে। তাঁরা উসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে এই বইয়ের তত্ত্ব ব্যবহার করেন। ১৯ শতকের ইউরোপীয় পণ্ডিতরা এই বইয়ের গুরুত্ব স্বীকার করেন এবং ইবনে খালদুনকে মুসলিম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দার্শনিকদের অন্যতম হিসেবে গণ্য করতেন।
১৪০১ সালে বারকুকের উত্তরাধিকারী, তার পুত্র ফারাজের অধীনে, ইবনে খালদুন মঙ্গোল বিজয়ী তৈমুরের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভিযানে অংশ নেন, যিনি ১৪০০ সালে দামেস্ক অবরোধ করেছিলেন। ইবনে খালদুন এই উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন এবং সত্যিই মিশরে থাকতে চেয়েছিলেন। তার সন্দেহ প্রমাণিত হয়েছিল, যেহেতু তরুণ এবং অনভিজ্ঞ ফারাজ, মিশরে একটি বিদ্রোহের বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তার সেনাবাহিনীকে সিরিয়ায় তার নিজস্ব ডিভাইসে রেখে দ্রুত বাড়ি চলে যায়। ইবনে খালদুন ৭ সপ্তাহ অবরুদ্ধ শহরে ছিলেন, তৈমুরের সাথে আলোচনার জন্য দড়ি দিয়ে শহরের প্রাচীরের উপরে নামিয়েছিলেন, একটি ঐতিহাসিক সিরিজ বৈঠকে যা তিনি তার আত্মজীবনীতে ব্যাপকভাবে উল্লেখ করেছেন। তৈমুর তাকে মাগরেবের জমির অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তার অনুরোধে, ইবনে খালদুন এটি সম্পর্কে একটি দীর্ঘ প্রতিবেদনও লিখেছিলেন। যেহেতু তিনি তৈমুরের অভিপ্রায়কে চিনতে পেরেছিলেন, মিশরে ফিরে গিয়ে, তৈমুরের চরিত্র অধ্যয়নের সাথে, ফেজ (মাগরেব) এর মেরিনিড শাসকদের কাছে পাঠানোর সাথে তাতারদের ইতিহাসের উপর সমান-বিস্তৃত প্রতিবেদন রচনা করতে তিনি দ্বিধা করেননি। .
ইবনে খালদুন পরবর্তী পাঁচ বছর কায়রোতে তার আত্মজীবনী এবং তার বিশ্বের ইতিহাস সম্পূর্ণ করতে এবং শিক্ষক ও বিচারক হিসেবে কাজ করেন। ইতিমধ্যে, তিনি রিজাল হাওয়া রিজাল নামে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টিতে যোগদান করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল, যার সংস্কার-ভিত্তিক ধারণা স্থানীয় রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। বৃদ্ধ ইবনে খালদুনকে গ্রেফতার করা হয়। মালিকি কাদি (বিচারক) পদে ষষ্ঠ নির্বাচনের এক মাস পর ১৪০৬ সালের ১৭ মার্চ তিনি মারা যান।
১৮৫২ - বিলি বার্নস, পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৮৬৩ - আর্থার মোল্ড, ইংরেজ ক্রিকেট খেলোয়াড়।
১৮৯০ - যতীন্দ্রপ্রসাদ ভট্টাচার্য, একজন বাঙালি কবি। (মৃ.১৪/০৩/১৯৭৫)
১৯০৩ - যোগেশচন্দ্র বাগল প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক। (মৃ.০৭/০১/১৯৭২)
১৯৯৫ - সাবিলা নূর বাংলাদেশী মডেল ও অভিনেত্রী।
মৃত্যুবার্ষিকী :
১৯১০ - রবার্ট কখ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান জীব বিজ্ঞানী। (জ.১১/১২/১৮৪৩)
১৯৩০- স্পেনীয় কথাসাহিত্যিক গাব্রিয়েল মিরো।
১৯৬৪ - জহরলাল নেহরু, ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। (জ.১৪/১১/১৮৮৯)
১৯৮৬ - অজয় মুখোপাধ্যায়, পশ্চিম বাংলার চতুর্থ ও ষষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী। (জ.১৯০১)
১৯৯৫ - শ্যামাদাস চট্টোপাধ্যায় - আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি পরমাণু বিজ্ঞানী। (জ.২৯/০৬/১৯০৯)
এন