tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
রাজনীতি প্রকাশনার সময়: ২৬ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:৪৪ পিএম

ফরিদপুরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে পুলিশের বাধা


faridpur01-20240126181009

ফরিদপুরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে দেয়নি পুলিশ। মাঝপথে মুজিব সড়কে সমাবেশ করলেও পুলিশের বাধার কারণে তা শেষ করতে পারেননি নেতাকর্মীরা।


শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে মুজিব সড়ক ও ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কালো পতাকা, ব্যানার নিয়ে শহরের ব্রাহ্ম সমাজ সড়কে জেনারেল হাসপাতালে মোড় এলাকায় সমবেত হন। পরে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ খণ্ড খণ্ড হয়ে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে স্ব স্ব ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল শুরু হয়। প্রথমে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যানার নিয়ে এগিয়ে যান। এ সময় নিজেরা একেক দল আলাদা আলাদা করে বানিয়ে আনা ব্যানার নিয়ে তাদের অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে আলাদাভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন।

মিছিল থেকে তারা অবৈধ নির্বাচন মানি না বাতিল করো ডামি নির্বাচন মানি না মানবো না ডামি সরকার চাই না পদত্যাগ করো স্লোগানের পাশাপাশি খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবি জানান।

১১টা ৪৫ মিনিটে মিছিলটি ব্রাহ্মসমাজ সড়ক পার হয়ে মুজিব সড়ক ধরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গেলে পুলিশ সেখানে মিছিলের গতি রোধ করে। মিছিলকারীরা প্রেসক্লাব পার হয়ে সামনে জনতা ব্যাংকের মোড়ের দিকে এগুতে থাকলে সেখানেও পুলিশ বাধা দেয়।এ সময় আলাদা আলাদা দলের নেতাকর্মীরা মিলে একটি বিশাল মিছিলে পরিণত হয়।

প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের কথা কাটাকাটি ও বাদানুবাদ হয়। তবে পুলিশের বাধা পেরিয়ে মিছিলটি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ পুনরায় বাধা দেয়। ফলে মিছিলটি আর বেশি দূর এগুতে পারেনি। তখন বিএনপির নেতারা প্রেসক্লাবের পশ্চিম পাশে ধানসিঁড়ি খাবার হোটেলের সামনে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে শুরু করেন। একইভাবে প্রেসক্লাবের সামনে জনতার ব্যাংকের মোড় অভিমুখের মিছিলটি আনুমানিক ৩০০ মিটার আগেই থামিয়ে দেয় পুলিশ।

৮ থেকে ১০ মিনিট বক্তব্য রাখার পর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও গোয়েন্দা পুলিশ এসে বিএনপি নেতাদের সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করতে বলেন। ওই সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে এলে সমাবেশে অংশ নেওয়া বিএনপির কর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করেন। পরে নেতৃবৃন্দ তাদের সমাবেশস্থলে ডেকে আনেন। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশের কর্মকর্তারা এসে সমাবেশটি দ্রুত শেষ করান।

সমাবেশে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আফজাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব হাসান, মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররাস আলী ইসা বলেন,পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়েছে এবং সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য করেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশের এই আচরণ দেশে যে গণতন্ত্র নেই তার প্রমাণ। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আব্দুল গফফার বলেন, বিএনপি মিছিল ও সমাবেশ করার জন্য কোনো অনুমতি নেয়নি। আকস্মিকভাবে তারা এ কর্মসূচি করেছে। এজন্য শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও যানজট এড়াতে মিছিলটি জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি। বিএনপি প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে।

এমএইচ